পাতা:বক্তৃতাকুসুমাঞ্জলি.pdf/১৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

2ማዪ) বস্তৃতাকুসুমাঞ্জলি । দেশ ব্যতীত এখন ভারতাপেক্ষ কোন রাজ্যের অধিক আয়তন নাহি। এতাদৃশ ভারতক্ষেত্র পূর্বে খণ্ডে খণ্ডে বিভক্ত হইয়া যক্ষ, রক্ষ, দানব, কিরাত, আভীর প্রভৃতি আদিম নরবংশের শাসনে ছিল । তাহারা আর্য্যগণের অনিষ্ট করিত, স্বতরাং আর্য্যেরা অগ্রে তাহাদিগকে পরাজয় করিতে বাধা হইয়াছিলেন । একে ভারতবর্ষ অতি বিস্তীর্ণ, আবার সম্মুখে এত শক্র, বিশেষতঃ সুখ সম্পত্তির সমস্ত প্রকার উপাদানই ভারতে ছিল স্থতরাং ভিন্ন দেশী ক্রমণে র্তাহীদের অবসর ও বাসনা হয় নাই । ৭ । আর্য্যের যে যুদ্ধপ্রিয় ছিলেন তাহার আর সন্দেহ নাই । কিন্তু প্রায় সমস্ত যুদ্ধই প্রাগুক্ত-প্রকার আদিম নরজাতির সহিত সংঘটিত হইয়াছিল। অতি অল্প স্থলেই স্বজাতির সহিত যুদ্ধ হইয়াছে। তন্মধ্যে কুরু-পাণ্ডবীয় সমরই প্রধান । ফলে, তেমন যে আত্মীয়ে আত্মীয়ে যুদ্ধ তাহাও ভারতীয় শাস্ত্রে সম্পূর্ণ ধৰ্ম্মযুদ্ধ বলিয়া অভিহিত হয়। যে করুক্ষেত্র পাণ্ডবগণের আত্মীয়-শোণিতে অভিষিক্ত হইয়াছিল তাহাও ধৰ্ম্মক্ষেত্র বলিয়া পরিকীৰ্ত্তিত হইয়াছে।” যুদ্ধারম্ভে বান্ধবগণের রুধির-পাত আশঙ্কা করিয়া অর্জনের মনে পাপম্পর্শ হইয়াছিল, কিন্তু গীতাশাস্ত্রে তাহ সাংখ্যযোগ ও কৰ্ম্মযোগ উপদেশ দ্বারা খণ্ডন করিয়া দিয়াছেন । গীতার সেই সকল উপদেশ মায়া, মোহ বিনাশের তীক্ষাস্ত্রস্বরূপ ; নিস্বাৰ্থ বিষয়-বিদ্যা এবং বিষয়াতীত পরমার্থবিদ্যার বীজমন্ত্রস্বরূপ এবং স্বগীয়ব্ৰহ্মজ্ঞান ও সংসারধৰ্ম্মের যোগস্বরূপ । অতএব হে ভারত-সন্তানগণ । গীতা অধ্যয়ন কর, নতুবা ব্ৰহ্মজ্ঞান-বিহীন ব্যবহার দ্বারা এ ভারতে কখন স্বকৃতি সঞ্চয় করিতে পারিবে না ইতি ।