পাতা:বক্তৃতাকুসুমাঞ্জলি.pdf/১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Վ) বস্তৃতাকুসুমাঞ্জলি । আহরণ করিয়া ব্রহ্মসভার সহজ জ্ঞানকে পোষণ না করিত তবে সে সহজ জ্ঞান বিশেষ ব্রহ্মজ্ঞান লাভে বঞ্চিত থাকিত । মানবের সাধারণ জ্ঞানে অর্থাৎ সহজ জ্ঞানে ব্রহ্মসভার যে মূল পরিচয় আছে তাহা এইরূপে ক্রমে ক্রমে সবল হয়, নতুবা সেই ভূমা মহেশ্বরকে একদিনে কে গ্রাস করিতে পারে ? ব্রহ্মসভার বিশ্বাসে অটল থাকাই নরের প্রথম প্রতিষ্ঠা— পশ্চাৎ শুভ-বুদ্ধি-যোগে তাহার বিশেষ জ্ঞান লাভ করা তাহার কৰ্ত্তব্য কৰ্ম্ম—এই দুই দিকে দুই দৃষ্টি রাখিয়া তিনি বুদ্ধি দ্বার। যতই কাৰ্য্য করুন কিছুতেই দোষ নাই। যত ক্ষণ মনুষ্য কেবল উত্থানের দিকে দৃষ্টি রাখেন তত ক্ষণ দোষ নাই, কিন্তু যখন তিনি ঈশ্বরের কোন খণ্ড অংশকে পূৰ্ণব্রহ্মরূপে গ্রহণ করত সেই স্থলেই আবদ্ধ হইয়া থাকেন তখনই দোষ । যখন অন্বেষণ করিতে করিতে এমত বোধ হয় যে, তাহাকে পাইলাম না—অতএব তিনি নাই, তখনই নাস্তিকতা ; আর যখন অন্বেষণে না পাইয়া স্থির হয় তিনি অসীম ও বাক্য মনের অগোচর তখনই ব্রহ্ম-লাভ। অতঃপর যখন অন্বেষণের মধ্যপথে তাহার স্বরূপকে বিভাগ করিতে ক্রটি করা যায় না তখন তাহাকে ভাল করিয়া বুঝা যায় না। এই অবস্থায় মানব বাহে বা মানসে পৌত্তলিক থাকিতে পারেন—সাকারবাদী বা ব্রাহ্ম নামও লইতে পারেন, তাহার কিছুতেই দোষ নাই— কেবল অহঙ্কারমূলক উপাধিই দোষের হেতু। বিস্তীর্ণ ধৰ্ম্মপথে এই অবস্থার লোকই অনেক । নামে যিনি যাহা হউন, হিন্দু বলিয়াই পরিচয় দিন আর ব্রাহ্ম বলিয়াই পরিচয় দিন, উন্নতি সম্বন্ধে উভয়ই প্রায় সমকক্ষ । বুদ্ধি বা কল্পনা দ্বারা মানব ব্রহ্মকে যতই খণ্ড খণ্ড করুন, তাহার ভাবকে যতই