পাতা:বক্তৃতাকুসুমাঞ্জলি.pdf/১৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গীতা এবং তাহার উদেশ্য। ՏԳ:) “কাৰ্য্যকারণকর্তৃত্বে হেতুঃ প্রকৃতিরুচ্যতে। পুরুষঃ স্থখদুঃখনাং ভোক্তত্বে হেতুরুচ্যতে।” ( উচ্যতে কপিলাদিভিঃ ইতি স্বামী ) অর্থাৎ কপিলাদি সাংখ্যদর্শন-কারের প্রকৃতিকে শরীর ও ইন্দ্রিয়-ক্রিয়া-নিৰ্বাহক এবং পুরুষকে অর্থাৎ ক্ষেত্ৰজ্ঞকে স্থখদুঃখ-ভোক্তা বলিয়া নির্দেশ করিয়াছেন । এতাবতা, বেদান্তসূত্রের—সুতরাং পূর্বমীমাংসারও আর সাংখ্যদর্শনের পশ্চাৎকালে এই শাস্ত্র প্রকাশিত হইয়াছে। ন্যায় ও বৈশেষিক দর্শন, বেদান্ত এবং সাংখ্যের পূর্ববর্তী বলিয়া অনুমান হয় ; কেন না, শেষোক্ত উভয়দর্শনেই প্রথমোক্ত শাস্ত্রদ্বয়ের পূর্ববৰ্ত্তিত্ব-জ্ঞাপক উল্লেখ আছে । সুতরাং ন্যায়, বৈশেষিক, মীমাংসা, বেদান্ত ও সাংখ্য এই পঞ্চদর্শনই গীতার পূর্বকার। কেবল পাতঞ্জল সম্বন্ধে সন্দেহ রহিল । ৪ । এই গীতাশাস্ত্রের শ্ৰীকৃষ্ণ বক্তা এবং অর্জন শ্রোতা রূপে কথিত হন । দুর্য্যোধন প্রভৃতি জ্ঞাতিগণের সহিত ধৰ্ম্মক্ষেত্রে কুরুক্ষেত্রে ঃ মহাসমরে অবতরণ পূর্বক যখন

  • কুরুক্ষেত্র—মমুকন্যা ইলা হইতে ২৮ পুরুষ পরে পুরুবংশে অজমীচ ভূপতি জন্মেন। তাহার ঘূমিনী নামী স্ত্রীর গর্ভে ঋক্ষ ঋক্ষ হইতে সম্বরণ জন্মিয় কুরুবংশের সংস্থাপক হয়েন। তাহার কুরুনামে পুত্র হয়। কুরুরাজ দিল্লির কিঞ্চিছুক্তরাংশে বন পরিষ্কার পূর্বক এক দেশ স্থাপন করেন। তাহার নাম কুরুজাঙ্গল অথবা কুরুক্ষেত্র। ঐ স্থান অতি বিস্তৃত। উহার উত্তরভাগ যাহা স্থানেশ্বর ও পাণিপথের নিকট, সরস্বতী নদীর দক্ষিণ ও দৃষদ্বতীর উত্তর তাহাই কুরুক্ষেত্র তীর্থ নামে এখনও বর্তমান আছে। সেই স্থানেই পুৰ্ব্বকালে পরশুরাম রামহ্রদপঞ্চক খোদন করেন এবং পশ্চাৎ কুরুপাগুৰীয় যুদ্ধ হইয়াছিল। পশ্চাৎকালে ঐ স্থানেই মহারাষ্ট্রীয় নরপতিগণের সহ হিন্দুস্থানের রাজাদিগের এক মহাসমর হয়। এই ক্ষেত্র বহু সৈন্যের সমাবেশ-যোগ্য বিধায় পূৰ্ব্বকাল হইতেই ভারতীয় সমরসমূহের মহারঙ্গভূমি হইয়া আছে। ঐ স্থানে