পাতা:বক্তৃতাকুসুমাঞ্জলি.pdf/১৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বস্তৃতাকুসুমাঞ্জলি । מילול মহাবীর “ধনঞ্জয় উল্মীলিত-নেত্রপাত-পূর্বক দেখিলেন, পিতামহ, পিতৃব্য, পুত্র, পৌত্র, ভ্রাতা, আচাৰ্য্য, মাতুল, শ্বশুর প্রভৃতি যাবতীয় আত্মীয় ও বন্ধুবান্ধবগণ যুদ্ধার্থী হইয়া রণস্থলে সমাগত হইয়াছেন।” তখন তিনি শোকে অভিভূত হইয়া - “নযোৎস্যইতিগোবিন্দমুক্তাতুষ্ণীংবভুব হ” আর্মি যুদ্ধ করিব না, এই বাক্য শ্ৰীকৃষ্ণকে কহিয়া মৌনাবলম্বী হইলেন —এস্থানে স্বামী লিখিয়াছেন - “ দেহাত্মনোরবিবেকাৎ অস্যৈবংশোকোভবতীতি তদ্বিবেকপ্রদর্শনাৰ্থং শ্ৰীভগবানুবাচ।” অর্থাৎ দেহ এবং আত্মার অবিবেকতাবশতঃ অর্জনের শোক হইয়াছিল, বিবেক জন্মাইয়া যুদ্ধে নিয়োগ করণার্থ শ্ৰীকৃষ্ণ তাহাকে যে সকল উপদেশ দিয়াছিলেন তাহাই গীতা-শব্দের বাচ্য । ৫। গীতাতে জ্ঞানযোগ, কৰ্ম্মযোগ, প্রকৃতিপুরুষ, বিবেক যতই উপদেশ থাকুক ; অর্জুনকে যুদ্ধে মতি-প্রদানই উহার হিরণ্যবতী নামে এক পবিত্রজলপূর্ণ তটিনী ছিল। তাহারই তীর দিয়া শ্রেণীবদ্ধ রূপে মহারাজ যুধিষ্ঠিরের শিবির স্থাপিত হয় । সৈন্য-রক্ষার নিমিত্তে শিক্রুিরের অপর পাশ্বে এক সুদীর্ঘ গভীর পরিখা খোদিত হয়। কেশবের তত্ত্বাবধারণে তথা ভারে ভারে কাষ্ঠ, মধু, স্থত, ফল মূল প্রভৃতি নানাবিধ খাদ্য, অশ্ব গজাদির ভক্ষ্য দ্রব্য ইত্যাদি তাবৎ আবশ্যকীয় দ্রব্যই রাশি রাশি সংগ্ৰহ হইয়াছিল। সেনাপতিগণের নিমিত্তে তন্মধ্যে বৃহৎ বৃহৎ রথ নিৰ্ম্মাণ হইতে থাকিল এবং বহুসংখ্যক বহুদশী অস্ত্রচিকিৎসক ঔষধ প্রভৃতি লইয়া নিযুক্ত রছিলেন । স্থানে স্থানে ধনুঃ, বাণ, বল্লম, গদা, কুঠার ও অন্যান্য নানাবিধ সমরাস্ত্র সকল স্ত,পায়মান রহিল এবং সহস্ৰ সহস্ৰ অশ্ব, রথ, গজ সুন্দররাপে স্থসজ্জিত হইয়াছিল । ( ধীরাজবাহাদুরের মঃ ভাঃ আঃ পঃ ১৫৫ পৃঃ, উইলসনকৃত সংস্কৃত সাহিত্য ১খঃ ৩০৮ ও ২খঃ ৩০৯পৃ, ঐ জনের বিষ্ণুপুরাণ ২থঃ ১৪৩পূঃ, কাশিরাম দাসের উদ্যোগপৰ্ব্ব যুদ্ধসজ্জা, এবং ধীরাজ বাহাদুরের মঃ ভাঃ উদ্যোগ পঃ ৩২১ পৃঃ )