পাতা:বক্তৃতাকুসুমাঞ্জলি.pdf/১৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গীতা এবং তাহার উদ্দেশ্য। צbrסי এই যে, কুরুবংশ বড় প্রজা-পীড়ক ও পাণ্ডবগণের অনিষ্টকারক ; সকলেই তাহাদের বিনাশ প্রার্থনা করিতেছে ; সুতরাং তাহাদিগকে বিনাশ করা ঈশ্বরীয় কাৰ্য্য ; অতএব তাদৃশ বুদ্ধিতে যুদ্ধ কর। এই স্থানে এই যুদ্ধরূপ সাংসারিক কৰ্ম্মটি উপলক্ষ করিয়া ২ অধ্যায়ের ৩৯ অবধি শেষ (৭২) শ্লোক পৰ্য্যন্ত সৰ্ব্বপ্রকার ক্রিয়া কৰ্ম্মই ঈশ্বরাপণ-বুদ্ধিতে করার কর্তব্যতা উপদেশ করিয়াছেন। সেরূপ বুদ্ধিতে কৰ্ম্ম করিলে ফল-কামনার অভাববশতঃ কৰ্ম্মজন্য বন্ধন উৎপন্ন হয় না । শ্রেীত, স্মাৰ্ত্ত, গার্হস্থ্য, শারীরিক প্রভৃতি তাবৎ কৰ্ম্মই ঐ প্রকারে নির্বাহ করার উপদেশ দিয়াছেন। কিন্তু পদে পদে কাম্য কৰ্ম্মকে নিন্দা, কামনার মূলস্বরূপ ইন্দ্রিয়-সংযমের উপায় এবং র্যাহাঁদের কৰ্ম্ম করার প্রয়োজন নাই এমত তত্ত্ব জ্ঞানীদিগের লক্ষণ বর্ণন করিয়াছেন । প্রকৃত প্রস্তাবে তদ্বারা তত্ত্বজ্ঞানের বিশেষ প্রশংসা করিয়াছেন। ৮—১১। শ্ৰীকৃষ্ণ অর্জনের শোক দূর করিবার জন্য জ্ঞান-যোগ, স্বগের লোভ, কৰ্ত্তব্য-বুদ্ধি, কৰ্ম্ম-যোগ এবং শেষোক্ত কৰ্ম্ম-যোগের মধ্যেও জ্ঞানের শ্রেষ্ঠতা বিষয়ে যত প্রকার উপদেশ দ্বিতীয়াধ্যায়ের একাদশ শ্লোকাবধি অন্তিম (অর্থাৎ ৭২) শ্লোক পর্য্যন্ত প্রদান করিলেন ; তন্মধ্যে কাম-কৰ্ম্ম-সংসার-বীজস্বরূপ, মায়া-মোহ-বিনাশক তত্ত্বজ্ঞানেই অর্জনের প্রীতি হইল। জ্ঞান এমনি আশ্চৰ্য্য পদার্থ যে, তাহা হৃদয়ঙ্গম হইব। মাত্রে তাহার মনোহারিতাতে নর-চিত্ত আকৃষ্ট হয়। অতএব অর্জনের শোক দূর ও যুদ্ধস্পৃহা উদ্রেক জন্য প্রথমেই যে জ্ঞান-যোগ ও পরে কৰ্ম্ম-যোগের মধ্যে মধ্যে তত্ত্বজ্ঞানের যে প্রশংসা ও তদুপলক্ষে কৰ্ম্মের যে নিন্দ কীৰ্ত্তিত হইয়াছিল