পাতা:বক্তৃতাকুসুমাঞ্জলি.pdf/১৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ֆ Ե Յ বক্তৃতাকুসুমাঞ্জলি । । তাহাই পুনশ্চ আবার যুদ্ধের বাধ হইল। কেন না, তখন অর্জন শ্ৰীকৃষ্ণকে সম্বোধনপূর্বক কহিলেন । “ জ্যায়সীচেৎ কৰ্ম্মণস্তে মত বুদ্ধিৰ্জনাৰ্দ্দন। তৎ কিং কৰ্ম্মণি ঘোরে মাং নিয়োজয়সি কেশব ॥” নিষ্কাম কৰ্ম্মযোগ অপেক্ষ যদি তোমার মতে তত্ত্বজ্ঞানই শ্রেষ্ঠ হইল তবে কি জন্য “উত্তিষ্ঠ” “ যুদ্ধস্ব’ বলিয়া আমাকে ঘোর-হিংসাত্মক কৰ্ম্মে প্রবৃত্ত করিতেছ ? অতএব এক পক্ষ নিশ্চয় করিয়া বল । ১২। উপরিউক্ত প্রশ্নের উত্তরে শ্ৰীকৃষ্ণ কহিয়াছেন যে, জ্ঞান-যোগ আর কৰ্ম্ম-যোগ এই উভয়ের একই ব্রহ্মনিষ্ঠাতে উদ্দেশ্য । তন্মধ্যে “ যত্ত্বাত্মরতিরেব স্যাদাত্মতৃপ্তশ্চ মানবঃ। আত্মন্যেব চ সংতুষ্টস্তস্য কার্যাং নবিদ্যতে ॥” আত্মাতেই র্যাহার রতি, আত্মাতেই র্যাহার তৃপ্তি, আত্মাতেই যাহার সন্তোষ ; মৃতরাং ভোগাদিতে অপেক্ষা-রহিত তাদৃশ ব্যক্তির কোন কৰ্ম্ম কৰ্ত্তব্য নাই । কিন্তু অন্য ব্যক্তির কৰ্ম্ম করা অনাবশ্বক নহে। তুমি তাদৃশ জ্ঞানী নহ, এবং মূঢ়ের ন্যায় কাঞ্ছা কৰ্ম্মে বন্ধ হওয়াও তোমার ন্যায় মধ্যম জ্ঞানীর উচিত নহে, “ তস্মাদসক্তঃ সততং কাৰ্য্যং কৰ্ম্ম সমাচর । অসক্তোহাচরন কৰ্ম্ম পরমাপ্নোতি পুরুষঃ ॥” অতএব তুমি ফলকামনা-রহিত হইয়া সতত কর্তব্য কৰ্ম্ম আচরণ কর । আসক্তি-রহিত কৰ্ম্মী পরম ফল লাভ করেন। “ নহিকশ্চিৎ ক্ষণমপি জাতু তিষ্ঠত্যকৰ্ম্মকৃৎ । , কাৰ্য্যতেহ্যবশঃ কৰ্ম্ম সৰ্ব্বঃ প্রকৃতিজৈৰ্গণৈঃ ॥” 擊