পাতা:বক্তৃতাকুসুমাঞ্জলি.pdf/১৯৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গীতা এবং তাহার উদ্দেশ্য । ጏbሥ¢ কোন ব্যক্তি কদাচিৎ ক্ষণমাত্রের জন্যও কৰ্ম্ম না করিয়া তিষ্ঠিতে পারেন না। কেন না, স্বভাবের প্রভাবে সকলেই পরন্তন্ত্র হইয়া কৰ্ম্ম করিয়া থাকেন। + ১৩ । এইরূপে গীতাশাস্ত্রে প্রথমতঃ আত্মার অমরত্ব উপদেশ দিয়া পরে ঈশ্বরাপর্ণবুদ্ধিতে, ঈশ্বরার্থে, পরমেশ্বরের প্রিয়কাৰ্য্য-জ্ঞানে, নিজের লাভালাভ-বুদ্ধি ত্যাগপূর্বক যুদ্ধ করিতে প্রবৃত্ত হওয়ার জন্য শ্ৰীকৃষ্ণ ধনঞ্জয়কে কৰ্ম্মযোগ বলিয়াছিলেন এবং যুদ্ধ-কৰ্ম্মের উপদেশকে দৃঢ় করিবার নিমিত্তে আনুষঙ্গিকরূপে সৰ্ব্ব প্রকার কৰ্ম্মেরই উপদেশ দিয়াছেন। তাহার মধ্যে কাজে কাজেই নিত্য নৈমিত্তিক কৰ্ম্ম, সন্ধ্যা বন্দনী, যাগ যজ্ঞ প্রভৃতি এবং পান, ভোজন, গমন, দান ইত্যাদি আসিয়া পড়িয়াছে। বিশেষতঃ মধ্যে মধ্যে আবার অর্জনের জ্ঞান-যোগ ও কৰ্ম্ম-যোগ সম্বন্ধে নানা প্রশ্ন আছে; তাহার উত্তরে শ্ৰীকৃষ্ণ সৰ্ব্বপ্রকার শাস্ত্রীয় তত্ত্বই ব্যাখ্যা করিয়াছেন । ১৪। যদিও ঈশ্বরাপণ-বুদ্ধিতে শ্রোতাদি কৰ্ম্ম করিলে সেই কৰ্ম্মজন্য দোষে পুরুষ লিপ্ত হন না এবং তাহাতে ক্রমে চিত্তশুদ্ধি হইয়া জ্ঞান জন্মে ও সেই জ্ঞান দ্বারা মোক্ষ হয় ইহাই স্বামী প্রভৃতির ব্যাখ্যায় প্রকাশ ; কিন্তু শঙ্করাচার্য্য স্বীয় ভূমিকায় লিখিয়াছেন যে, তাদৃশ কৰ্ম্মের সহিত জ্ঞানের সমুচ্চয় অভিপ্রেত নহে। জ্ঞান-নিষ্ঠা ও কৰ্ম্ম-নিষ্ঠা অধিকারী-ভেদে পৃথক পৃথক। অতএব কৰ্ম্ম-সম্বলিত জ্ঞান উপদিষ্ট হয় নাই। উভয় একজনের অসম্ভব । অতএব “গীতাশাস্ত্রে ঈষন্মাত্রেণাপি শ্রেীতেন স্মাৰ্ত্তেন বা কৰ্ম্মণাত্মজ্ঞানস্ত সমুচ্চয়োন কেনচিদশয়িতুং শক্যঃ ।” অর্থাৎ “এই গীতাশাস্ত্রে লেশমাত্রও শ্রেীত বা স্মাৰ্ত্ত কৰ্ম্মের આ 8