পাতা:বক্তৃতাকুসুমাঞ্জলি.pdf/১৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ծե-Ն বস্তৃতাকুহুমাগুলি। সহিত জ্ঞানের সমুচ্চয় কেহ প্রতিপাদন করিতে সমর্থ হইবেন না।” ফল-কামনা-শূন্য কৰ্ম্মের দ্বারা চিত্তশুদ্ধি হইতে পারে, তাহাতে জ্ঞান-নিষ্ঠ জন্মে ; কিন্তু জ্ঞান না জন্মিলে কোন প্রকার কৰ্ম্মের দ্বারা মোক্ষ হয় না। “তস্মাদগীতাস্থ কেবলাদেব তত্ত্বজ্ঞানান্মোক্ষপ্রাপ্তিঃ ন কৰ্ম্মসমুচ্চিতাদিতি নিশ্চিতোহথঃ ।” অর্থাৎ “কেবল তত্ত্বজ্ঞানেই যে মুক্তি হয় তাহাতে যে (শ্রীতাদি) কৰ্ম্মেরঞ্চ সহায়তা অপেক্ষা করে না, ইহাই এই গীতাশাস্ত্রের নিশ্চিত অর্থ।” পরমার্থ-তত্ত্ব-বিষয়ে কৰ্ম্মে মোক্ষ গীতার তাৎপৰ্য্য নহে ; জ্ঞানে মোক্ষই তাৎপৰ্য্য । আর লৌকিক উদ্দেশ্য বিষয়ে অৰ্জ্জুনকে নিত্য নৈমিত্তিক কৰ্ম্মে দীক্ষিত করা গীতার মুখ্য অভিপ্রায় নহে; কিন্তু যুদ্ধকৰ্ম্মে উৎসাহিত করাই একমাত্র লক্ষ্য । ১৫। এই শাস্ত্রে পরমার্থতত্ত্ব সম্বন্ধে অন্যান্য যত জ্ঞান পাও তাহা লাভ কর; কিন্তু ইহার এই সার উপদেশ সকলকেই গ্রহণ করা উচিত যে, আমরা পান, ভোজন, গমন, গ্রহণ, বাণিজ্য, রাজকাৰ্য্য, পরিবার প্রতিপালন প্রভৃতি যত প্রকার সাংসারিক কাৰ্য্য করি তাহ যেন ভগবানের প্রিয়কাৰ্য্য জ্ঞানে করতে পারি এবং আত্মীয় বন্ধুগণের মৃত্যুতে শোকাভিভূত না হইয়া যেন এই পরম সত্য মনে করিয়া ধৈর্য্যাবলম্বন করি যে, তাহারা যৌবনান্তে বৃদ্ধাবস্থা প্রাপ্তির ন্যায় দেহান্তে লোকান্তরে অবস্থিতি করিতেছেন ইতি ।

  • ৭ সংখ্যক বক্ততার ১৪ ক্রম দেখ ।