পাতা:বক্তৃতাকুসুমাঞ্জলি.pdf/২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ե বস্তৃতাকুসুমাঞ্জলি। নিরূপিত ঈশ্বরীয় খণ্ড-জ্ঞান-সম্বলিত একাকারে ব্রহ্ম-জ্ঞান-রূপ মহাসাগরে লয় প্রাপ্ত হয়। তাহারা যখন ততদূর প্রবাহিত না হয় তখনই সঙ্কীর্ণতা। বুদ্ধি, যুক্তি ও কল্পনা দ্বারা নিরূপিত ঈশ্বরের গুণগত ভিন্ন ভাবের এক একটি দ্বারা পৃথক পৃথক রূপে যখন আমরা তাহাকে গ্রহণ করি অথবা সেই ভিন্ন ভিন্ন গুণ সমূহ দ্বারা যখন আমরা ঈশ্বরকে নিৰ্ম্মাণ করি তখনই ংশিকতা বা পৌত্তলিকত। উপস্থিত হইয়া থাকে। যদিও আংশিকতা বা পৌত্তলিকতা ঈশ্বরেরই উদ্দেশে কিন্তু তাহার দ্বারা ঈশ্বরের অখণ্ডস্বরূপ লাভ হয় না । ফলতঃ বুদ্ধি শুভ না হইলে, যুক্তি মীমাংসাকে আশ্রয় না করিলে, চিন্তা বৈরাগ্য অবলম্বন না করিলে, বিচার বিবেকের হস্ত না ধরিলে, কোন মতেই তাহারদের দ্বারা বিশেষ ব্ৰহ্মজ্ঞান লাভ হয় না। তবে সহজ জ্ঞানের উৎস হইতে বুদ্ধি, যুক্তি বা বিবেচনা ব্যতীতও ব্রহ্মসভার সাধারণ জ্ঞানেচ্ছিাস যে স্বভাবতঃ হইয়া থাকে, সে কথা স্বতন্ত্র, তাহা হইবেই হইবে । তাহ না হইলে বরং বুদ্ধি, যুক্তি প্রভৃতি অবসন্ন হইয়া পড়ে, প্রত্যয়ের অভাবে জগতে কোন প্রকার উপাসনা তিষ্ঠিতে পারে না এবং সাধারণ জ্ঞান অণুবে বিশেষ জ্ঞানও হয় না । ইতি প্রথম প্রকরণ সমাপ্ত।