পাতা:বক্তৃতাকুসুমাঞ্জলি.pdf/২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ኧ። # বস্তৃতাকুক্ষমাঞ্জলি । অন্য স্থানে যাইতে হয় না—যেহেতু তিনি একেবারে সর্বত্রে সমভাবে বর্তমান। “সর্বত্র” শব্দের অপরিসীম ভাব আমর। যতদূর পরিগ্রহ করিতে পারি, তাছার বর্তমানত তাহ অতিক্রম করিয়৷ রহিয়াছে। অনন্তের ভাব আমরা ধারণ করিতে পারি না। তাহার প্রসাদে র্যাহার আত্মা যত উন্নত তিনি অনন্তের তত পরিচয় পান। দীন, হীন, ক্ষুদ্র, মানব যতই কেন সেই অনন্ত ভাবকে খৰ্ব্ব করিয়া দেখুন না তাহাতে পরমাত্মার অনন্তত্ব ও নিত্যতার বিপ্ন-সম্ভাবনা নাই। অতি উন্নত ব্রহ্মবাদীরা যতই কেন অনন্ত-ভাব-গ্রহণে সমর্থ হউন না, ব্রহ্মের স্বকীয় ধ্রুব অনন্তত্ব ও নিত্যতা তাহার অপেক্ষা অনন্তভাবেই অধিক থাকিবেক । নিহার-বিন্দুর সহিত সাগরের তুলনা, বালুকণার সহিত ধরণীর তুলনা, খদ্যোতের সহিত সূর্য্যের তুলনা যত অসম্ভব হয়, পরমেশ্বরের অনন্ত-বর্তমানতার সহিত মনুষ্য-স্কৃত" সৰ্ব্বত্র,” “অনন্ত,” “অসীম” প্রভৃতি ভাবের তুলনা তাহ অপেক্ষাও অধিক অসম্ভব । সমগ্র দেশ প্রকৃত প্রস্তাবে যতই কেন অনন্ত হউক না তাহা তাহাকে অতিক্রম করিয়া নাছি, কিন্তু র্তাহার শাসনে থাকিয়া-আমারদিগের ব্রহ্মলাভের পন্থী ও সোপানস্বরূপ হইয়া রহিয়াছে। সেই দুৰ্ব্বোধ গম্য সীমাতীত মহাপন্থা—সেই দিব্যধামের সোপান-পরম্পরা র্তাহার সম্বন্ধে “অত্র” স্বরূপ ; কিন্তু আমারদিগের ন্যায় ক্ষুদ্র জীবের পক্ষে সেই ব্যবধান অবলম্বন করিয়া অসংখ্য অসংখ্য সৌরজগৎ বিদ্যমান রহিয়াছে, এমত সকল মহামহ সূৰ্য্য উপরিস্থ গগণ-সাগরে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র তরীর ন্যায় ভাসিতেছে, যাহারদের এক একটির গর্ভ-ক্ষেত্র খনন করিলে তন্মধ্যে এই ধরণার মত লক্ষ লক্ষ ধরণী প্রবেশ করিতে পারে । কোথায়