পাতা:বক্তৃতাকুসুমাঞ্জলি.pdf/২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Y R বক্তৃতাকুহুমাঞ্জলি। আগামী কল্যের পক্ষে জীবন্তও হই নাই কেবল আশামাত্র প্রার্থনাসূত্র ধরিয়া উঠিতেছি। উভয় ভাবেই আমরা মৃতবৎ রহিয়াছি ; ভূতের কৃতকৰ্ম্ম ও ভাবীর ভরসামাত্র আমারদের আত্মার প্রকৃতিকে সংগঠিত করিতেছে। কাল কেবল আমারদের সোপালমাত্র—তাহ দ্রুতভাবে যেমন বিগত হইতেছে অমনি একটি অকাৰ্য্যকর উপাধি মাত্র রাখিয়া যাইতেছে— আর যখন আগত হয় নাই তখনও সেই উপাধি দ্বারা আমারদিগকে আকর্ষণ করিতেছে । সে জানিয়া শুনিয়া আমারদের মঙ্গল বা অমঙ্গল করে না ; কেবল আমারদেরই কৃতকৰ্ম্ম এবং কামনা আমারদিগকে অধিকার করিতেছে । বস্তুতঃ কালের উপরি আমারদের নির্ভর নহে, কিন্তু কৰ্ম্ম ও কামনার উপরিই নির্ভর । কৰ্ম্ম যদি উৎকৃষ্টরূপে—সাধুভাবে কৃত হয় তবে এই বলিতে হইবে যে ভূত কালকে আমরা বৃথা যাইতে দিই নাই। সেই সুকৃতি আত্মাকে পুষ্ট করিয়া ভাবীর নিমিত্তে আমারদের সাধু কামনা রচনা করে এবং সেই সাধু কামনা আবার সাধু কৰ্ম্মের প্রসূতি হয়। কিন্তু যদিও আমারদের বর্তমান কামন বর্তমান কালকে ধারণ করিতে পারে না, ভবিষ্যতের প্রতিও নিশ্চিন্ত ভাবে নির্ভর করিতে পারে না—কেন না আমরা আগামী কালের পক্ষে মৃতবৎ রহিয়াছি—অথবা ইহাই বলা যাউক যে আগামী কাল এখনও জন্মগ্রহণ করে নাই—তথাপি আমাদের বর্তমান কামনার নির্ভর-স্থলের অভাব নাই। যিনি অনন্ত-বর্তমান—কালযাহাকে অধিকার করে না তিনিই আমারদের কামনার একমাত্র নির্ভর স্থল। কামনা র্তাহাকে আশ্রয় করিলে সৎফল প্রসব করে—যদি ভূতের দুষ্কৃতি থাকে তাহাও সেই সৎফল জন্য প্রক্ষালিত হয়। দুষ্কৃতি জন্য যদি