পাতা:বক্তৃতাকুসুমাঞ্জলি.pdf/২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় প্রকরণ। እ¢ তখন কেবল র্তাহার অপূর্ণ খণ্ডভাব গ্রহণ করি। সে ভাব আমারদেরই চিত্রিত ও কল্পিত। তাহাতে নর-প্রকৃতির ও ভূত-প্রকৃতির ভাব আরোপিত হইলে তিনি পূর্ণপুরুষরূপে উপলব্ধ হন না। র্তাহার প্রকৃতির গুণাতীত অদ্বিতীয় ভাবই পূর্ণ পুরুষ-শব্দের বাচ্য। তিনি প্রকৃতির সমষ্টিও নহেন ব্যষ্টিও নহেন ; কিন্তু পূর্ণপুরুষ। যতক্ষণ আমরা তাহাকে সর্বাতীত, সকলের সার পুরুষরূপে উপলব্ধি না করি ততক্ষণ র্তাহাকে অন্ধ দেখি। তাহাকে জীবন্ত, জ্বলন্ত, পুরুষ রূপে গ্রহণ করিতে পারি না বলিয়াই তাহার প্রতি আমারদের বিশ্বাস অটল হয় না। তাহার ঐ মহাভাব অন্য কোন মহত্তর ভাব হইতে সংগৃহীত নহে এবং তাহা আমারদের আধ্যাত্মিক গুণরাশির সমষ্টিও নহে। সে ভাব সেই পূর্ণ মঙ্গল পুরুষ-স্বরূপ। ১২ । সেই মহাপুরুষের প্রকাশ বিদ্যুল্লতা বা মধ্যাহ্নমার্ভণ্ডের ন্যায় জ্যোতিৰ্ম্ময় নহে। তাহার জ্যোতিঃ সৌদামিনী ও সবিতার প্রকাশক। র্তাহার অস্তিত্ব স্বপ্লবৎ মায়িকও নহে, তিনিই প্রকৃত জীবন্ত ও জাগ্রত দেবতা। তাহার সহিত বাহ্য জগতের সম্বন্ধ সাক্ষাৎ ও জ্বলন্ত এবং মানবের সম্বন্ধ সাক্ষাৎ ও জীবন্ত। সেই মঙ্গলের যোগেই বাহ্য জগতের মঙ্গল-শোভ। ঈশ্বরের করুণাবারির বর্ষণ ব্যতীত নদীর মঙ্গল নাই,শস্যের মঙ্গল নাই, ধরার মঙ্গল নাই। তাহার জ্বলন্ত মঙ্গলভাব সূর্য্যে, চন্দ্রে, মেঘে, পবনে বসতি করে ; নতুবা সূর্ঘ্যের প্রভা, চন্দ্রের শোভা, মেঘের দুগ্ধ, পবনের প্রাণ, জগতের ত্ৰাণ কোথা ? তাহার মঙ্গলচ্ছটা বাহ্য জগতে ধক্ ধক্ করিয়া জ্বলিতেছে। কিন্তু মানবের সঙ্গেই তাহার অন্তরতম সম্বন্ধ । প্রাচীন ঋষিরা তাহাকে আত্মার অন্তরাত্মা, প্রাণের প্রাণ, মনের