পাতা:বক্তৃতাকুসুমাঞ্জলি.pdf/৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় প্রকরণ। רג ছেন । কিছুই এবং কেহই তাহা হইতে বঞ্চিত নহে। তিনি ভৌতিক জগতের সর্ব-ঘটেই বিদ্যমান, কিন্তু “হ্যায় ঘটমে ঘটকী স্থধ নেহি” সে সব ঘট তাহাকে জানে না। কেবল মানবই ঈশ্বরীয় সাদৃশ্য বশতঃ আপন হৃদয়ে তাহার করুণাপূর্ণ বিদ্যমানত বুঝিবার অধিকারী। যে মানবের স্থা নাই,সামান্য বাহ্য ঘটে ও তাহার আত্ম-ঘটে প্রভেদ কি ? এতাবতা গুণ সম্বন্ধে র্যাহাতে দ্বৈতভাব নাহি, র্যাহাতে আমারদের গুণের ন্যায় ভিন্ন ভিন্ন অপূর্ণ গুণ নাহি, যিনি একমাত্র পুরুষ-স্বরূপ, যাহার সহিত আমাদের জীবন্ত সম্বন্ধ, যিনি সৰ্ব্বত্র বর্তমান তাহাতে আমাদের প্রদত্ত কোন গুণই সংলগ্ন হইতে পারে না। ১৪। আমরা তাহাকে সত্যস্বরূপ বলি, কিন্তু তাহা আমাদেরই চিত্রিত। আমাদের সম্বন্ধে এ জগৎসংসার কিছু দিনের জন্য সত্য—আমারদের শরীরই কিছু দিনের জন্য সত্য। যখন আমারদের মৃত্যু হইবে তখন এ সব আর কোন কাজে আসিবে ? স্থতরাং প্রত্যেক মৃত ব্যক্তির সম্বন্ধে জগতের বর্তী মান প্রকার সম্বন্ধ মিথ্যা। মৃত্যুর পর যদি জ্ঞান-নেত্ৰ সহস্ৰ শক্তি ধরে, তবে এই জগৎ আমরা তখন যে কিরূপ দেখিব সে ভাব এখন প্রচ্ছন্ন রহিয়াছে। সে সম্বন্ধ এখনকার পক্ষে মিথ্যা । এখন পঞ্চ জ্ঞানেন্দ্রিয় দ্বারা যে বস্তুকে যেরূপ দেখিতেছি, যদি পঞ্চের অতীত আর একটি ইন্দ্রিয় থাকিত, তবে, সে পদার্থের ভাব আর একরূপ বোধ হইত। কিন্তু জগদীশ্বরের পুর্ণজ্ঞান স্বরূপে জগতের যথার্থ সত্য একেবারেই সঙ্গমিত রহিয়াছে । জগৎ যাহা, আর আমরা যাহা, সে তত্ত্বজ্ঞান যেমত তাহার আছে তেমন কোন কালেই আমারদের হইবে না। তিনি সকল সত্যের মূল সত্য। তাহার সত্যস্বরূপের সহিত