পাতা:বক্তৃতাকুসুমাঞ্জলি.pdf/৩১

>b" বস্তৃতাকুসুমাঞ্জলি জগতের সত্যতার তুলনা হয় না । তিনি ইচ্ছা করেন তে৷ অসংখ্য সৌরজগৎ অবধি দেশ কাল পর্যন্ত জগতে যাহা কিছু আছে সকলই আত্মস্বরূপের মধ্যে লয় করিয়া লইবেন । তখন এই জগতের যে ভাব হইবে আর এখন ইহার যে ভাব দেখা যাইতেছে, সেউভয় ভাব আমারদের ক্ষুদ্র জ্ঞানে পরস্পর বিপরীত বোধ হইতেছে; কিন্তু তিনি পরমসত্য ও পূর্ণজ্ঞান এজন্য তিনি ঐ উভয় ভাবের একটি যথার্থ সত্যভাব একেবারেই জানিতেছেন। তাহার সেই অসীমজ্ঞানই সত্যস্বরূপ ; অতএব আমারদের ক্ষুদ্রজ্ঞান দ্বারা লব্ধ সত্যের ভাব র্তাহাতে আরোপ হইতে পারে না। is ১৫। র্তাহার মঙ্গলস্বরূপেরও ঐরূপ ভাব । তাহার অনন্ত জ্ঞানই তাহার মঙ্গলস্বরূপ এবং তাহার মঙ্গলস্বরূপই র্তাহার অপর সর্বগুণের একমাত্র রূঢ় অদ্বিতীয় স্বরূপ । কোনটি প্রকৃত মঙ্গল, কোনটি অমঙ্গল এ সত্য নিৰ্দ্ধারণ করা আমারদের পক্ষে সহজ নহে। কিন্তু তিনি দেশ কালে অনন্ত, সত্যজ্ঞানস্বরূপ, পরমশিবস্বরূপ, স্থতরাং তিনি তাহ একেবারে জানিয়া জগতের চিরকল্যাণ সাধন জন্য অজস্র মঙ্গল বর্ষণ করিতেছেন। মারাভয়, তুর্ভিক্ষ, রাজবিপ্লব, ধৰ্ম্ম-বিপ্লব, জলপ্লাবন প্রভৃতিকে আমরা অমঙ্গল জ্ঞান করিতে পারি, কিন্তু তিনি সেই সকল মানব-কুল-সংহার-কারী বিপদের মধ্যে থাকিয়া তন্মধ্যে মঙ্গল-বীজ নিহিত করিতেছেন; কালেতে সেই সব বিপদের মূল হইতে মানব প্রভূত মঙ্গল লাভ করিতেছেন। ংসারিক ও সামাজিক তাবৎ অমঙ্গল হইতে মানবের জ্ঞান, ধৰ্ম্ম, বল, বীর্য আশ্চৰ্যরূপে উৎপন্ন হইতেছে। যেমন শীতান্তে পুরাতন পত্র সকল ঝরিয়া গিয়া ৰসন্ত-সমাগমে