পাতা:বক্তৃতাকুসুমাঞ্জলি.pdf/৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় প্রকরণ । הל তরু সকল হরিত-সজ্জায় শোভিত হয়, সেইরূপ বিপদন্তে মানবকুল বসন্ত-শোভা ধারণ করে। যাহারা পৃথিবীর বিপদে অত্যাহত হইয়া শরীর ত্যাগ করেন র্তাহারাও লোকান্তরে সেই আনন্দময়েরই আনন্দ-কার্য্যে পুনঃ ব্ৰতী হয়েন। জগদীশ্বরের অনন্ত মঙ্গলভাব কে বুঝিবে ? মঙ্গল-বর্ষণে তিনি কখনই নিবৃত্ত নহেন এবং তাহার মঙ্গলস্বরূপে অমঙ্গলের বিন্দু বিসর্গ নাই। অামারদের হৃদয়ে বিশুদ্ধ মঙ্গলের ভাব নাই, তাহা সৰ্ব্বদাই অমঙ্গল-মিশ্রিত। অামারদের জ্ঞান যেমত পরিমিত, মঙ্গলভাবও তেমনি পরিমিত ; কিন্তু তাহার অনন্ত জ্ঞান-সমুদ্রই মঙ্গলের সাগর। সুতরাং আমরা তাহার মঙ্গল ভাব গ্রহণ বা চিত্রিত করিতে পারি না । ১৬। ঐ রূপ তিনি আনন্দস্বরূপ । তাহার সত্য স্বরূপ ও মঙ্গল স্বরূপই তাহার আনন্দস্বরূপ। আমারদের কখন আনন্দ, কখন নিরানন্দ, কখনও বিপদ কখনও সম্পদ, কখন জন্ম কখনও মৃত্যু ; কিন্তু তিনি অচ্যুত ও আনন্দ-নিকেতন। “এতস্যৈবানন্দস্তান্যানি ভূতানি মাত্রামুপজীবন্তি ।” সেই পরমানন্দের কণামাত্র আনন্দকে অন্য অন্য জীব সকল উপভোগ করে । ১৭ । এইরূপে সেই আদি-দেব অনাদি-দেব আমারদের জ্ঞান, বুদ্ধির অতীত হইয়া আমারদিগকে জ্ঞান, ধৰ্ম্ম, মঙ্গলানন্দ, পরিবেষণ করিতেছেন । তাহার কৃপা-বলে তাহাকে লাভ করিব বলিয়া তিনি স্বয়ং প্রত্যেক নয়নারীর হৃদি-স্থিত সহজজ্ঞানে আপনি আসীন রহিয়াছেন। আত্ম-নিহিত সেই দেবসেব্য-মৃগমদ-গন্ধে মানবাত্মা মোছিত হইয়া তৎপ্রাপ্তির আশয়ে সতৃষ্ণনয়নে ইতস্ততঃ অন্বেষণ করেন