পাতা:বক্তৃতাকুসুমাঞ্জলি.pdf/৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

글 বস্তৃতাকুসুমাঞ্জলি। কিন্তু তিনি জানেন না যে, তাহা তাহার স্বকীয় নাভিকুণ্ডে অবস্থিতি করিতেছে। পশ্চাৎ বহু তপস্যার ফলে যখন ব্ৰহ্মজ্ঞান আসিয়া মানবাত্মাকে অন্তদৃষ্টি করায় তখন সেই ভুবনেশ্বরকে তিনি জাগ্রত ভাবে, জানিয়া বুঝিয়া দর্শন ও উপভোগ করেন । ব্রহ্মজ্ঞানের সাহায্য বিনা সহজজ্ঞান ও তন্নিহিত প্রেম ভক্তির উন্নতি হয় না। ব্ৰহ্মজ্ঞানের সাহায্য ভিন্ন ব্রহ্মনিরূপণে মতি হয় না। ব্রহ্মজ্ঞানের সাহায্য ভিন্ন ফলকামনাবিশিষ্ট যাগ যজ্ঞ এবং অযোগ্য প্রার্থনা ও সংসার-বাসনা রহিত হয় না । ব্রহ্মজ্ঞানের সাহায্য ভিন্ন ব্রহ্মের অখণ্ড জাগ্রত ভাবের বিশেষ পরিচয় পাওয়া যায় না এবং সর্বশাস্ত্রে কহেন যে ব্ৰহ্মজ্ঞান বিনা যুক্তি হয় না । সহজজ্ঞানে ব্রহ্মের উদ্দেশে উপাসনা হয় বটে কিন্তু ব্ৰহ্মবাদীরা বলেন “তদ্বিজিজ্ঞাসস্ব’ র্তাহাকে বিশেষরূপে জানিতে ইচ্ছা কর। সহজজ্ঞান সকলেরই আছে । তাহা হইতে অজস্রধারে সকলেরই উপাসনা-প্রবৃত্তি উৎসরিত হইয়। কল্পনা ও বুদ্ধির সাহায্যে জগতে নানাবিধ সাধক-সম্প্রদায় হুষ্ট করিয়াছে ; কিন্তু ব্ৰহ্মজ্ঞানের সাহায্য বিনা তাহ বিশেষরূপে ঈশ্বরকে জানিবার অধিকার পায় না। অতএব ব্রহ্মকে বিশেষরূপে জানিবার নিমিত্তে যাহার ইচ্ছা করেন তাহারা ব্ৰহ্মজ্ঞানের আলোচনা করুন। উপরে ব্রহ্মস্বরূপের ও ব্রহ্মসত্তার যে আভাস দেওয়া গেল তাহা জানা ও শুনা হইতে হৃদয়ঙ্গম করা স্বতন্ত্র ব্যাপার । অনেক শুনিলে বা অনেক বলিলেই যে, ঐ সকল দেব-দুর্লভ ভাব হৃদয়ঙ্গম হয় এমত নহে। আপনার যত্ন চাই, আপনার সাধন চাই, অভ্যাস চাই তবে ঐ সকল অমৃতভাব লাভ হইবেক । ঐ প্রকার যত্নের নামই ব্রহ্মজ্ঞানের আলোচনা । সকলেরই