পাতা:বক্তৃতাকুসুমাঞ্জলি.pdf/৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় প্রকরণ। צל স্বাধীনত আছে, আপন আপন চেষ্টায় সকলেই তাহা করিতে পারেন, কিন্তু জগতের আলোচনা, শাস্ত্রপাঠ, যুক্তিপূর্বক বিচার দ্বারা শাস্ত্রের অর্থ চিন্তা, ও ব্রহ্মজ্ঞানবিষয়ক উপদেশ শ্রবণ ও তাহার তাৎপর্য মনন করা, ব্রহ্মজ্ঞান আলোচনার পক্ষে এ সকল পরম উপায়। এই সকল পরম উপায় অবলম্বন করিয়া ব্রহ্মজ্ঞানের সাহায্যে যিনি ব্রহ্মের পূর্ণস্বরূপের আভাস পাইয়াছেন সেই মহাত্মাই ব্রহ্মকে জানিয়াছেন এবং লাভ করি য়াছেন । “তপসা ব্রহ্ম বিজিজ্ঞাসস্ব মনের একাগ্রতার সহিত ব্ৰহ্মকে বিশেষরূপে জানিতে ইচ্ছা কর । ব্রহ্মজ্ঞানী ব্রহ্মকে প্রাপ্ত হয়েন । “সোহন্বেষ্টব্যঃ স বিজিজ্ঞাসিতব্যঃ। স সৰ্ব্বাংশ্চ লোকানাপ্নোতি সৰ্ব্বাংশ্চ কামান্যস্তমাত্মানমনুবিদ্য বিজানাতি ।” “র্তাহাকে অন্বেষণ করিবেক এবং তাহাকেই বিশেষরূপে জানিতে ইচ্ছা করিবেক। যিনি অন্বেষণ করিয়া তাহাকে বিশেষরূপে জানিতে পারেন র্তাহার সকল লোক-প্রাপ্তি হয়, সকল কামনা সিদ্ধ হয়” । ইতি তৃতীয় প্রকরণ সমাপ্ত ।