পাতা:বক্তৃতাকুসুমাঞ্জলি.pdf/৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সংখ্যা ২ দ্বার ভাঙ্গ ব্রাহ্মসমাজ ২৮ ফাঙ্কণ ১৭৯৩ শক, রবিবার ।

=

ব্ৰহ্মজ্ঞান-প্রকাশে ভারতবর্ষের প্রাধান্য । ১ । পরমেশ্বর আছেন এ বিশ্বাস সৰ্ব্বত্রেই দেখা যায়। কিন্তু তিনি কি প্রকার তাহার বিশেষ জ্ঞান সৰ্ব্বত্রে দৃষ্ট হয় না। যদিও সে বিশেষ জ্ঞান, সকলে লাভ করিতে না পারুক, ফলে তদ্বিষয়ে সামান্য জ্ঞান “তিনি আছেন” এই বিশ্বাসের সঙ্গে সঙ্গেই থাকে। সাধনের তারতম্য, সঙ্গ-প্রভাব, বিদ্যার শক্তি এবং দেশ কাল ও অবস্থা অনুসারে সেই সামান্য জ্ঞানেরও তারতম্য দৃষ্ট হয় । বস্তুতঃ সেই সামান্য ব্রহ্মজ্ঞান যদি ঈশ্বর বিশ্বাসের সঙ্গে সঙ্গে না থাকিত, তবে ঈশ্বর সত্তা জীবন-শূন্য ও নীরস হইত এবং সেরূপ বিশ্বাসের কোন অর্থই থাকিত না । ঈশ্বরস্বরূপের সেই সামান্য জ্ঞান হইতে সভ্য বা অসভ্য, প্রাচীন বা আধুনিক কোন জনসমাজ বঞ্চিত নহে। বুদ্ধি আর কল্পনা পরমেশ্বরের সেই সামান্য জ্ঞানকে যতই চিত্রিত ও ਬੋਲ করুক, তাহাকে অনাবৃত করিয়া দেখ–এই সারতত্ত্ব বুঝিতে পারিবে যে, তাহার মূলাংশ কেবল ঈশ্বরেরই জ্ঞান। সেই জ্ঞানই মনুষ্যের ভক্তি, শ্রদ্ধা, পূজা, প্রার্থনার অবলম্বন। তাহাই মানব-ধৰ্ম্মের প্রস্রবণ এবং সাধুকাৰ্য্যের উৎসস্বরূপ । ঈশ্বর সম্বন্ধে সেই সামান্য জ্ঞানমাত্রা থাকাতে মানব কর্তৃক জগতে নানাবিধ উপাসক-সম্প্রদায় স্বস্ট হইয়াছে ; উচ্চ উচ্চ মন্দির, মণ্ডপ ও ভজনালয় সকল নিৰ্ম্মিত হইয়াছে এবং তাছাই