পাতা:বক্তৃতাকুসুমাঞ্জলি.pdf/৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্ৰহ্মজ্ঞান-প্রকাশে ভারতবর্ষের প্রাধান্য । כאב সম্বল করিয়া ব্রহ্মস্বরূপের বিশেষ জ্ঞান আহরণে অনেকে সক্ষম হইয়াছেন। r ২ । কিন্তু ব্রহ্মস্বরূপের বিশেষ জ্ঞান গভীরতর। বিশেষ আলোচনা ব্যতীত সে জ্ঞান লাভ হয় না। অনেক শাস্ত্র, অনেক ধৰ্ম্মপুস্তক, এবং অনেক সাধু, যোগী, দণ্ডী, পরমহংস, সন্ন্যাসী ও ব্রাহ্ম তাহাতে বঞ্চিত রহিয়াছেন। পরমেশ্বরের নাম সকলেই শুনিয়াছেন, তাহার পূজা করিতে হয় তাহ সকলেই জানেন, অনেকে তাহার উদ্দেশে নানা কৰ্ম্মকাণ্ডে ব্যস্ত। কিন্তু তাহার বিশেষ তত্ত্ব-লাভ সহজে হয় না। সে তত্ত্বজ্ঞান কঠিন-সাধা। ৩ । সেই জ্ঞানের নাম ব্ৰহ্মজ্ঞান। ব্রহ্মস্বরূপের যে অনিৰ্ব্বচনীয় ভাব ব্রহ্মজ্ঞানের বিষয় তাহা বুদ্ধি মনের অগোচর, বাক্যের অবচনীয়। সে ভাবকে কল্পনা চিত্র করিতে পারেন না, কবি বর্ণনা করিতে পারেন না, সূৰ্য্য চন্দ্র দেখাইতে পারে না এবং দেশ ও কাল পরিমাণ করিতে পারে না। পৃথিবীর মধ্যে এমন কোন পুণ্যতীর্থ নাই যেখানে তাহা পাওয়া যাইতে পারে, কেবল র্যাহারা হৃদয়ের পবিত্র তীর্থে সূক্ষ জ্ঞানযুক্ত অনুরাগের সহিত স্নান করেন, সেই নিষ্পাপ পুরুষেরা, সেই স্বৰ্গীয়ভাব লাভ করিতে পারেন। যাহারদের দৃষ্টি বহির্বিবষয়ে—যাহারদের যত্ন প্রাকৃত জগতে, তাহারা অবনীতে রাজপদে অভিষিক্ত হইতে পারেন, অতুল ধন, মান, বল,বীৰ্য্য লাভ করিতে পারেন; কিন্তু সেই স্বৰ্গীয় ধন তাহারদের দুপ্রাপ্য। পক্ষান্তরে র্যাহারা অন্তরে দৃষ্টি করেন, অন্তর মধ্যে বাস করেন, অন্তর লইয়াই যাহারদের ব্যবসা, তাহারাই সহজে সেই দেবদুর্লভ ভাবের