পাতা:বক্তৃতাকুসুমাঞ্জলি.pdf/৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

: Այ বক্তৃতাকুহুমাঞ্জলি যেখানে নাই তিনি সেখানেও আছেন—সমগ্র দেশ অর্থাৎ আকাশ যত দূর—যত অনন্তভাবে বিস্তৃত আছে তিনি “দূরাৎ স্বদূরে” (অত্যন্তাগম্যত্বাৎ) দূর হইতেও বহু দূরে—অর্থাৎ অগম্যের যত দূর অত্যন্ত হইতে পারে, সেখানেও আছেন, আবার তিনি “তদিহান্তিকেচ” (তৎ-ইহ-অন্তিকে চ,কি না, সমীপেচ) নিকটেও বর্তমান—তিনি এমনি দয়ালু প্ৰভু যে, “পশুৎস্বিহৈব নিহিতং গুহায়ামৃ” পশ্যৎস্থ চেতনাবৎস্থ, ইহ, এব, ‘নিহিতং স্থিতং গুহায়াং' আত্মনি অর্থাৎ চেতনাবান জীবগণের আত্মাতে স্থিতি করিতেছেন। পরঞ্চ “আকাশওতশ্চ প্রোতশ্চ” তাহার দ্বারা আকাশ ওতপ্রোতভাবে, কি না, সৰ্ব্বতোভাবে ব্যাপ্ত রহিয়াছে। এখন পরিষ্কার বুঝা যাইতেছে যে, তিনি আকাশের বাহিরে আছেন, আকাশের মধ্যে আছেন, আকাশের সর্বভাগে আছেন কিন্তু তিনি নিজে আকাশ নহেন ফলতঃ স্বয়ং আকাশের স্বষ্টিকৰ্ত্ত এবং কূটস্থরূপে প্রকাশক। ঐ প্রকারে তিনি কালেরও পরপারে আছেন, কালের মধ্যেও আছেন, কালের প্রত্যেক ভাগে ব্যাপিয়া রহিয়াছেন কিন্তু তিনি নিজে কাল নহেন ; ফলে কালের প্রকাশকর্তা “সৰ্বক্ষকালাকৃতিভ্যঃ পরোহন্যে যম্মাৎ প্রপঞ্চ পরিবর্ততেইয়মৃ” ‘সঃ পরমেশ্বরঃ বৃক্ষকালাকৃতিভ্যঃ বৃক্ষাৎ–সংসারাৎ, কালাৎ আকৃতেশ্চ পরঃ অন্যঃ”—প্রপঞ্চাসংস্পষ্টঃ ব্যস্মাৎ ঈশ্বরাৎ অয়ং ‘প্রপঞ্চঃ –সংসারঃ পরিবর্ততে। সেই পরমেশ্বর সংসার, কাল ও সাকার বস্তু সমুদয় হইতে প্রধান ও ভিন্ন। যাহা কর্তৃক এই প্রপঞ্চ সংসার পরিবর্তিত হইতেছে। এখানে পাওয়া যাইতেছে—তিনি ‘কালাৎপর কাল হইতে প্রধান অর্থাৎ কালের অতীত। অথচ কালাৎ ‘অন্য’, কি না, কালেতে