পাতা:বক্তৃতাকুসুমাঞ্জলি.pdf/৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२br বস্তৃতাকুসুমাঞ্জলি । ৬ । এতাবাত নিম্পন্ন হইতেছে যে, তিনি এক অদ্বিতীয়, নিগুণ, প্রকৃতি হইতে ভিন্ন অর্থাৎ পরম পুরুষ, দেশ কালের অতীত এবং সৰ্ব্বগুণের ঈশ্বর। এই মহাপুরুষকে বাক্য বর্ণন করিতে পারে না “নৈব বাচা”, মন ধারণ করিতে পারে না “ন মনসা”, বুদ্ধি, যুক্তি ও ধারণার সহিত বহুগ্ৰন্থ-পাঠেও র্তাহাকে পাওয়া যায় না “নমেধয়া,” অনেক বক্ততা শ্রবণ করিলেও তিনি লব্ধ হন না, “ন বহুনা শ্রতেন,” তিনি চক্ষুর অগোচর “অদৃষ্টং”, কৰ্ম্মেন্দ্রিয়ের অগ্রাহ্য এবং অব্যবহার্য্য “অব্যবহার্য্যমগ্রাহ্যং,” তিনি কোন লক্ষণদ্বারা গম্য নহেন “অলক্ষণমৃ”, চিন্তাশক্তি ব্ৰহ্মাণ্ড ভ্রমণ করিয়া তাহাকে সংগ্ৰহ করিতে পারেন “অচিন্ত্যমৃ” ; কেবল যিনি পিপাসাতুর পথিকের ন্যায় ব্যাকুল হইয়া একান্তে র্তাহাকে প্রার্থনা করেন তিনিই তাহাকে প্রাপ্ত হন। “ষমেবৈষবৃণুতে তেন লভ্যঃ, তস্তৈষ আত্মা বৃণুতে তনুং স্বামৃ।” যম্ এবং ব্রহ্মাত্মানম্ ‘এষঃ সাধক বৃণুতে প্রার্থয়তে ‘তেন সাধকেন 'লভ্যঃ’ । পরমাত্মা এরূপ সাধকের সন্নিধানে উপনা হইয়া, আত্মস্বরূপ প্রকাশ না করিয়া থাকিতে পারেন না । স ‘এষ’ ‘আত্মা, কি না, ব্ৰহ্মাত্মা ‘তস্য’ আত্মকামস্য ‘বৃণুতে প্রকাশয়তি পারমার্থিকীং স্বাং স্বকীয়াং তনুম । ৭। ব্ৰহ্ম-তত্ত্ব অতীব মহৎ । সহস্ৰ সহস্ৰ বৎসর পূর্বে যখন পৃথিবীর অন্যান্য বর্ষ অজ্ঞানে আবৃত ছিল, তখন ভারতের ব্রহ্মোৎসব-ক্ষেত্র ঐ সকল.মহা মহা সত্যে ও জ্বলন্ত ব্ৰহ্ম-জ্ঞানে আলোকময় হইয়াছিল। পশ্চাৎ অন্যান্য যত দেশে ধৰ্ম্ম-তত্ত্ব আলোচিত ও শাস্ত্রবদ্ধ হইয়াছে সে সকল