পাতা:বক্তৃতাকুসুমাঞ্জলি.pdf/৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্ৰহ্মজ্ঞান-প্রকাশে ভারতবর্ষের প্রাধান্য। २* পাঠ করিলে তাহা হইতে ভারত-প্রকাশিত ব্ৰহ্ম-জ্ঞানের তুল্য— ভারতের আবিষ্কৃত সত্যসমূহের তুল্য কিছুই পাওয়া যায় না। ফলতঃ কোরাণ ও বাইবেলকে উপনিষদের সহিত কিছুতেই তুলনা করা যাইতে পারে না। উপনিষদের শ্রেণীর এক খানি শাস্ত্রও মুসলমান বা খৃষ্টানদিগের মধ্যে নাই। র্তাহারদের যাহা আছে তাহা কোরাণে ও বাইবেলেই আছে ; কিন্তু কোরাণ ও বাইবেলের একটি অধ্যায়ও ঈশ্বরের স্বরূপবর্ণনে উপনিষদের নিকটেও আসিতে পারে না। উপনিষদের প্রকাশিত জ্বলন্ত-সূৰ্য্যস্বরূপ ব্ৰহ্মজ্ঞানের তো কথাই নাই, কতিপয় পুরাণ, কতিপয় তন্ত্র, মহাভারত, ভগবদগীতা, যোগবাশিষ্ঠ, শ্ৰীমদ্ভাগবত প্রভৃতি যে সকল আলোক-মালায় ধাৰ্ম্মিক হিন্দুগণের গৃহ ও দেবালয় উজ্জ্বল হয়, বাইবেল ও কোরাণকে তাহার কোন একটি আলোক-সন্নিধানে উপস্থিত কর, খদ্যোতের ন্যায় বোধ হইবেক । অজ্ঞানান্ধকারাবৃত রজনীযোগে সেই সকল খদ্যোত স্থতরাং আলোক দিতে পারে, কিন্তু আলোকমালা-উপশোভিত সভাকুটিমে অথবা জ্ঞান-সূৰ্য্য-প্রভায় আলোকিত প্রশস্তক্ষেত্রে তাহারদিগকে উপস্থিত করিতে লজ্জাবোধ হয় ; তথাপি র্যাহারা কোরাণ ও বাইবেল সম্বল করিয়া জ্ঞান, ধৰ্ম্ম সম্বন্ধে গৰ্ব্ব করিয়া ভ্ৰমেন, র্তাহারদের সেই গৰ্ব্ব খৰ্বের নিমিত্তে এবং র্যাহারা খৃষ্টানদিগের প্রকাশিত ঈশ্বরস্বরূপকেই সত্য বলিয়া গ্রহণ করতভারতীয়-ব্রহ্মজ্ঞানকে অগ্রাহ করেন র্তাহারদের ভ্রম-প্রদর্শনার্থে দুই একটি উদাহরণ দেওয়ায় হানি নাই। ৮। প্রথমেই, ভারতের উপনিষৎ-শাস্ত্র ব্রহ্মকে যে ভাবে “একমেবাদ্বিতীয়ং” বলিয়া উল্লেখ করেন বাইবেল ও কোরাণ