পাতা:বক্তৃতাকুসুমাঞ্জলি.pdf/৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ցո ৰক্ততাকুসুমাঞ্জলি। তাহাকে সে ভাবে গ্রহণ করিতে পারেন নাই। শেষোক্ত উভয় ধৰ্ম্মপুস্তকই ঈশ্বরকে এক ও সৰ্ব্বব্যাপী বলিয়াও র্তাহার সত্তা ও স্বরূপের মধ্যে ভিন্নতা রাখিয়াছেন । যেমন সূৰ্য্য একস্থানে আছেন, তাহার আলোক সৰ্ব্বত্রে ; সেইরূপ ঐ দুই শাস্ত্রের মতে পরমেশ্বর স্বগে বসিয়া আছেন কিন্তু সেখান হইতেই সব জানিতেছেন । র্তাহার জ্ঞান সৰ্ব্বব্যাপী হইলেও র্তাহার সত্তা সৰ্ব্বব্যাপী নহে, তাহা কেবল স্বগেতেই উপবিষ্ট । তিনি আবশ্যক মতে নবী ও পয়গম্বরগণের নিকটে উপস্থিত হইতেন এবং ইন্দ্রিয়গাহ্য বাক্য কহিতেন। আবার অন্তৰ্হিত হইতেন। অতঃপর তাহার স্বরূপের মধ্যেও ভিন্ন ভিন্ন গুণসকল পরস্পর বিরুদ্ধভাবাপন্ন, কেন না, তাহার দয়া র্তাহার ন্যায়-বিরুদ্ধ। ন্যায়-বিচার দ্বারা তিনি যাহারদিগকে নরকে প্রেরণ করেন তাহারা সহস্র রোদন করিলেও তিনি আর দয়া করিতে পারেন না। সুতরাং বাইবেল ও কোরাণনুসারে তিনি স্বরূপতঃ ও গুণসম্বন্ধে এক না হইয়া খণ্ড খণ্ড হইলেন। উপনিষদে যেমন লেখে যে, তিনি “অখগুৈকরসং” একমাত্র অখণ্ড-রস-স্বরূপ একই অখণ্ড-সৎচিদানন্দস্বরূপ, বাইবে ও কোরণের প্রকাশিত ব্ৰহ্মজ্ঞান তাহার নিকট দিয়াও গেল না । বাইবেল অনুসারে ঈশ্বরের সঙ্গে মানবের সঙ্গে কোন নৈকট্য-সম্বন্ধ নাই। মনুষ্যমাত্রেই আদম ও হাওয়ার সন্তান। আদম ও হাওয়া ঈশ্বরের আজ্ঞা লঙ্ঘন করিয়াছিলেন, সুতরাং সকল মনুষ্যই সেই আদি পিতা মাতার পাপের উত্তরাধিকারী হইয়াছেন। মনুষ্য. যাহাতে সেই সংক্রামক পাপ হইতে অব্যাহতি পায় সে নিমিত্তে ঈশ্বর আপন পুত্র যিস্থখুষ্টেতে চিরকালের জন্য স্বকীয় সমুদয় দয়া হস্তান্তরিত