পাতা:বক্তৃতাকুসুমাঞ্জলি.pdf/৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

లa বক্তৃতাকুসুমাঞ্জলি। হইতেছেন ; কিন্তু হিন্দুশাস্ত্র কি শান্তিপ্রদ –তদনুসারে ঈশ্বরস্বরূপ আনন্দময়, মঙ্গলময়, দয়াময়, পাপীর গতি, পরমাত্মা ও অন্তরাত্মা ও অখগুরসস্বরূপ হয়েন। ঈশ্বরেতে জড়-প্রকৃতি ও মানব-প্রকৃতির ধৰ্ম্ম না থাকায় যেমন হিন্দু শাস্ত্রে তাহাকে নিগুৰ্ণ কহেন, বাইবেল অনুসারে তাহার সেই সকল গুণ থাকা দৃষ্ট হইতেছে, স্বতরাং তিনি সে ভাবে সগুণ হইলেন। পক্ষান্তরে হিন্দুশাস্ত্র ঈশ্বরকে মানবের সকল মঙ্গলের বিধাতা জানিয়া যে ভাবে “গুণেশ” সৰ্ব্বগুনের ঈশ্বর কহেন, সে ভাবে বাইবেল-মতে পরমেশ্বর নিগুণ হইতেছেন । ৯ । হিন্দুশাস্ত্রমতে নরক-ভোগের অন্ত আছে। পিতা যেমন দণ্ড দিয়া সন্তানকে সাধু-পথে আনেন,পরমেশ্বর সেইরূপ র্তাহার পাপী সন্তানগণকে গ্লানিদ্বারা দণ্ড দিয়া অবশেষে পরমানন্দ প্রদান করেন।ঞ্চ ফলতঃ পাপবিদ্ধ হইলেই মানবের যন্ত্রণা উপস্থিত হয়, মানব তখন ঈশ্বরকে প্রার্থনা করে; হিন্দুশাস্ত্ৰ-মতে পরমেশ্বর সে প্রার্থনা হইতে মানবকে বঞ্চিত করেন না। কিন্তু বাইবেল অনুসারে পাপীর যে নরক-ভোগ হয় তাহার আর অন্ত নাই সুতরাং সে নরক-যন্ত্রণার মূলে মঙ্গলাদেশ্য নাই। এজন্য বাইবেলমতে ঈশ্বর অমঙ্গলস্বরূপ হইতেছেন; কিন্তু হিন্দুশাস্ত্রানুসারে তিনি মঙ্গলময়ই রহিয়াছেন।

  • গীতা ৫অঃ ১৪ শ্লোকে স্বামী লিখিয়াছেন “নিগ্রহোহুপি দগুরূপোহনুগ্রহএবেত্যেবমজ্ঞানেন সৰ্ব্বত্র সমঃ পরমেশ্বর ইত্যেবস্তুতং জ্ঞানমাবৃতং তেন হেতুন জন্তবে জীবা মুহ্যন্তি ভগবতি বৈষম্যং মন্যন্তে”। অর্থ—পরমেশ্বরের নিগ্রহন্ধপ দণ্ডই অনুগ্রহ —দও হওয়াতেই পাপীর পাপক্ষয় হয়। এই প্রকার দsরূপ অনুগ্রহের মৰ্ম্ম না জানা এক প্রকার অজ্ঞান। সেই অজ্ঞানই পরমেশ্বরীয় জ্ঞানকে আবৃত করে। তজ্জন্য মানব মোহযুক্ত হইয়া সেই পরমেশ্বরে বৈষম্য দৃষ্টি করেন। বাইবেল সেই অজ্ঞানকে ভেদ করিতে পারেন নাই।