পাতা:বক্তৃতাকুসুমাঞ্জলি.pdf/৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্ৰহ্মজ্ঞান-প্রকাশে ভারতবর্ষের প্রাধান্য। ΨC প্রত্যয়ের উপরি নির্ভর করিয়া ধৰ্ম্মসম্বন্ধে অনেক গুলি গ্রন্থ লিখিয়াছেন। তিনি বাইবেলের স্থত দেবত্রয়-বাদ, অনন্ত-নরক, সয়তানের দৌরাত্ম্য এ সকল সুন্দররাপে খণ্ডন করিয়া গিয়াছেন । ঈশ্বরের স্বরূপ সম্বন্ধে তিনি যে সকল সত্য প্রদর্শন করিয়াছেন অনেক ব্রাহ্ম কহেন যে, ইওরোপ ও এমেরিকার অন্য কেহ তাহার অগ্রে তাহা জ্ঞাত ছিল না। র্তাহারা বলেন যে, ঈশ্বর পূর্ণমঙ্গল, পূর্ণন্যায় ও প্রেমস্বরূপ, এ সব কথা পারকারই খৃষ্ট-রাজ্যে প্রথম প্রকাশ করেন। তিনিই জ্ঞাপন করেন যে, সহজজ্ঞানের উপরি ঈশ্বরজ্ঞান ও ধৰ্ম্ম প্রতিষ্ঠিত। বাইবেল, তর্ক ও যুক্তিতে ঈশ্বরকে পাওয়া যায় না। র্তাহারা ভ্রমে পড়িয়া আরো বলেন যে, পারকারের গ্রন্থসকল ভারতবর্ষে আসায় ব্রাহ্মসমাজে ধৰ্ম্ম ও ব্রহ্মজ্ঞান সম্বন্ধে অধিক সত্য প্রবেশ করিয়াছে। এ সকল কথার উত্তরে আপাততঃ এইমাত্র বক্তব্য যে, পারকার পরমেশ্বরীয় জ্ঞান সম্বন্ধে যতই সত্য প্রকাশ করুন—ইওরোপ ও এমেরিকার একেশ্বর-বাদির তদারা যতই উপকৃত হউন—অগ্রসর ব্রাহ্মেরা তাহা হইতে যতই ফল-লাভ করুন ; ফল কথা এই যে, আমার বিবচনায় পারকার অথবা অন্য কোন বৈদেশিক আচার্য্যের নিকটে আদিব্রাহ্মসমাজ কিছুমাত্র ঋণী নহেন। উক্ত সমাজ প্রথমাবধি আজিও পৰ্য্যন্ত কেবল শাস্ত্রোক্ত ব্ৰহ্মজ্ঞানই, সময়োচিত পরিবর্তন সহকারে প্রচার করিতেছেন । পারকার প্রভৃতির বিবৃত সত্য শাস্ত্রোক্ত ব্ৰহ্মজ্ঞানকে অতিক্রম করিয়া একতিলও উৰ্দ্ধে উঠিতে পারে নাই। ১৮৬০ খৃষ্টাব্দে ৫০বৎসর বয়সে পারকারের মৃত্যু হইয়াছে। র্তাহার অগ্ৰে ইওরোপে ঈশ্বরকে কেহ ঐরূপে জ্ঞাত ছিল কি না, এস্থলে সে বিচার করা