পাতা:বক্তৃতাকুসুমাঞ্জলি.pdf/৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

WԶ ն, বস্তৃতাকুসুমাঞ্জলি। যাইতেছেনা, কিন্তু এখন ইহা জ্ঞাত হওয়া উচিত যে, যখন আর আর সমস্ত দেশ অজ্ঞান-তমসাবৃত ছিল, তখন ঈশ্বরের স্বরূপ সম্বন্ধে সর্বপ্রকার সত্য ভারতবর্ষে প্রকাশিত হইয়াছিল। ঋষিদিগের গ্রন্থে ঈশ্বর-স্বরূপের এমন চিত্ত-তৃপ্তিকর আশ্চৰ্য্য আশ্চৰ্য্য ভাব পাওয়া যায়, যাহার তুলনা আমি এ পর্য্যন্ত পারকারের কোন গ্রন্থে দেখি নাই। আরো আশ্চর্য্যের বিষয় এই যে, যে প্রাচীন কালে মনের সকল ভাব ব্যক্ত করার উপযুক্ত শব্দ স্বস্ট হয় নাই, তখন ঋষির আধ আধ বাণীতে এক একটি চতুষ্পদী ও দ্বিপদী শ্লোকে কেমন মনোহর ভাবে, তাহা প্রকাশ করিয়াছেন। পারকার যে সময়ে প্রচার-ব্রত আরম্ভ করেন তখন তো ইংরাজী বিদ্যার উন্নত অবস্থা ; কিন্তু ঋষিগণ যে সময়ে ব্রহ্মজ্ঞান প্রকাশ করেন তখন হয় তো লেখারও স্বষ্টি হয় নাই। ১৩ . ঋষিগণের এক একটা কথায় ব্ৰহ্ম-স্বরূপ যতদূর ব্যক্ত হইয়াছে, পারকারের এক এক খানি গ্রন্থেও তাহা ততদূর প্রত্যাশা করা যায় না। ঋষিগণ আত্মার মধ্যে পরমেশ্বরের জাগ্রত সভা উপলব্ধি করিয়া যে চূড়ান্ত ভাবে পরমেশ্বরকে “পরুমাত্মা’ বলিয়া গিয়াছেন সেরূপ চূড়ান্ত-স্বরূপ-প্রকাশক একটি ভাব, একটি শব্দও পারকারের কোন গ্রন্থে পাওয়া যায় না। ঋষিরা যে ভাবে ঈশ্বরকে “একমেবাদ্বিতীয়ং” ও “অখণ্ড-রস-স্বরূপ” বলিয়াছেন, পারকারের কোন পুস্তকে সে ভাব পাই না। বস্তুতঃ পারকার কেবল উন্নত খৃষ্ট-ধৰ্ম্ম, সম্বন্ধে এক জন দৰ্শন-কার ও ভক্ত, ছিলেন । ধৰ্ম্মের কোন তত্ত্বের তিনি প্রকাশক নহেন। কিন্তু উপনিষদের ঋষিরা দর্শন-কার ছিলেন না—র্তাহারদের অনুরাগ-পূর্ণ হৃদয় হইতে