পাতা:বক্তৃতাকুসুমাঞ্জলি.pdf/৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্ৰহ্মজ্ঞান-প্রকাশে ভারতবর্ষের প্রাধান্য। \ריס স্বভাবতঃ ব্ৰহ্ম-স্বরূপ আবিষ্কৃত হইত, আর যেমন আবিষ্কৃত হইত অমনি তাহ তৎকাল-প্রচলিত রীত্যনুসারে ছন্দে চিরস্মরণীয় হইয়া থাকিত। এই কারণে উপনিষদের ঋষিরা বিশেষ যুক্তি, প্রমাণ সহকারে সে সকল ভাব বর্ণন করেন নাই। র্তাহারা হৃদয়ে ব্রহ্ম-জ্ঞান লাভ করিতেন এবং প্রত্যাশা করিতেন অন্যেরাও হৃদয় দ্বারা তাহা বুঝিবে। র্তাহার কহিতেন— “নায়মাত্মা প্রবচনেন লভো ন বহুনা শ্রীতেন” এই পরমাত্মাকে অনেক বচন দ্বারা বা অনেক শ্রবণ দ্বারা পাওয়া যায় না। কেবল যে সাধক হৃদয়ের সহিত র্তাহাকে প্রার্থনা করে, ‘তস্তৈাষ আত্মা বৃণুতে তনুং স্বাম।” পরমাত্মা কেবল সেইরূপ সাধকের সন্নিধানে আপন স্বরূপ প্রকাশ করেন। এই রূপ এক একটি ভাব ব্যক্ত করিয়া তাহারা নিশ্চিন্ত থাকিতেন । পশ্চাৎ ন্যায় অবধি বেদান্ত পর্য্যন্ত ষড়দর্শন-কারেরা আসিয়া সেই সকল কথা লইয়া টীকা টিল্পনী করিতে লাগিলেন ইতি। -