পাতা:বক্তৃতাকুসুমাঞ্জলি.pdf/৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সংখ্যা ৩ । দ্বারভাঙ্গ ব্রাহ্মসমাজ ১২ চৈত্র ১৭৯৩ শক, রবিবার। ব্রহ্মের আরোপ এবং ত্রিদেব ও গায়ত্রীর বিবরণ। ১। বেদের স্থল স্কুল বিবরণ কিঞ্চিৎ জ্ঞাত হইলেই তাহার বলে সব শাস্ত্রের, সব কৰ্ম্মকাণ্ডের, সমস্ত দেবগণের, মানবাত্মার এবং ব্রহ্মস্বরূপের প্রকৃত তত্ত্ব জানা যাইতে পারে। নতুবা সকলই অসংলগ্ন, সকলই অন্ধকার। বৌদ্ধগণ বেদ পরিত্যাগ করিয়া কেবল নাস্তিকতা প্রচার করিয়াছিল, কেবল বুদ্ধি অবলম্বন করিয়া তাহারা আপনারদিগকেই বড় বলিয়া জানিয়াছিল। মানব যাহাকে বড় বলিয়া জানে, স্বভাবতঃ তাহারই শরণাপন্ন হয় ; এখন দেখ বৌদ্ধের। সেই বুদ্ধি-অভিমানী পূর্বপুরুষগণকেই পূজা করিতেছে। যে দেব দেবীর পূজা ত্যাগ করনোদেশে বৌদ্ধের বেদ ত্যাগ করিয়াছিল আবার দেখ ক্রমে ক্রমে সেইরূপ দেব দেবীর পূজা প্রচলিত করিয়া তুলিয়াছে। মানবের যে অপরিহার্য স্বভাব বপূত বেদে অসংখ্য দেবের আরাধনা দেখা যায়—সে স্বভাব সময়বিশেষে মানব-সমাজকে আক্রমণ করিবেই করিবে । বৌদ্ধগণের বুদ্ধির আলোচনা ক্ষান্ত হইল আর অমনি ঐ স্বভাব বৌদ্ধসমাজে কাৰ্য্য করত অভিনবরূপে দেব দেবীর স্থাপনা করিল। মানবের ধৰ্ম্ম-প্ৰসবিনী, ধৰ্ম্মরক্ষিণী ও ধৰ্ম্মভাবের উন্নতিসাধিনী যে একটি প্রকৃতি আছে তাহা বেদ হইতে বেশ জানা যাইতেছে। বেদমধ্যে সেই প্রকৃতির কার্য্য যতদূর দৃষ্ট হয়, তাহ জানিয়া রাখা সকলেরই কর্তব্য। তাহা হইলে