পাতা:বক্তৃতাকুসুমাঞ্জলি.pdf/৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্রহ্মের আরোপ এবং ত্রিদেব ও গায়ন্ত্রীর বিবরণ। הגבי কনিষ্ঠ ও শ্রেষ্ঠ উভয় প্রকার উপাসনার তাৎপৰ্য্য এবং তছুভয়ের মধ্যে যে সম্বন্ধ আছে তাহা বুঝা যাইবে। নিরবচ্ছিন্ন ব্ৰহ্ম-উপাসনার সহিত দেব দেবীর উপাসনার আপাততঃ যতই অসম্বন্ধ ও বিরোধ থাকা বিবেচিত হউক, কিন্তু মনোযোগ পূৰ্ব্বক দেখিলে বুঝা যাইবে যে, তদুভয়ের মধ্যে এক হুমানৈকট্য-সম্বন্ধ স্থাপিত রহিয়াছে। ২ । ঋগ্বেদ-সংহিতা যাহা অন্যান্য বেদের অগ্রে প্রকাশিত হয়,—তাহার কোন স্থলে ব্রহ্ম-নাম নাই। কেবল স্থানে স্থানে ব্ৰহ্ম-শব্দ অন্য তাৎপর্ঘ্যে ব্যবহৃত হইয়াছে। যথা প্রথম মণ্ডলের তৃতীয়ানুবাকের তৃতীয় সূক্তের চতুর্থ বচনে যে “ব্ৰহ্ম’ শব্দ আছে, টকাতে তাহাকে “অন্নং’ এবং অষ্টমানুবাকের দ্বিতীয় সূক্তের চতুর্থ বচনে যে “ব্রহ্ম" শব্দ আছে, তাহার তাৎপৰ্য্য “হবিলক্ষণং অন্নং’ এবং নবমানুবাকের চতুর্থ সূক্তের দ্বিতীয় বচনে “ব্রহ্ম”—“স্তোত্ররূপংমন্ত্ৰং প্ল’ বলিয়া ব্যাখ্যা করা হইয়াছে। ঐরূপ “ব্রহ্মাণি” শব্দ ও ‘বেদরপাণি স্ত্রোত্ৰাণি, ‘স্তোত্ররূপাণি মন্ত্রজাতানি’, ‘হবিল্ল ক্ষণানি অন্নানি’ ইত্যাদি তাৎপর্য্যে টকা করা হইয়াছে। অতঃপর পুরাণে যেরূপ বিষ্ণু শব্দে পরমেশ্বরের সত্ত্বগুণস্বরূপ ঈশ্বর বলিয়া বুঝা যায়, অথবা এখন আমরা যেমন বিষ্ণু শব্দে ব্রহ্মই বুঝি, ঋগ্বেদসংহিতায় উক্ত শব্দের সে অর্থ নাই। তাহাতে “বিষ্ণু” শব্দে ‘ব্যাপকতা, ইন্দ্র’ ও ‘সূর্য্য বুঝাইতেছে। ফলতঃ সূর্য্যের এক

  • কৰ্ম্মীরা মন্ত্র অর্থাৎ বেদকেই ব্ৰহ্ম বলেন । সাংখ্যাচার্য্যের প্রকৃতিকে ব্ৰহ্ম বলিতে ইচ্ছা করেন ; কিন্তু বেদান্ত স্বষ্টি, স্থিতি, ভঙ্গের কারণকে ব্ৰহ্ম বলেন। তিনি বেদের ও কারণ ।