পাতা:বক্তৃতাকুসুমাঞ্জলি.pdf/৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 * বস্তৃতাকুসুমাঞ্জলি। নামও বিষ্ণু এবং বিষ্ণুশব্দের মূল অর্থই ব্যাপনশীল। সূৰ্য্যওঃ ত্ৰিলোকব্যাপী এবং ইন্দ্র বিষ্ণুর সখা। অতএব উক্ত শব্দ ঋগ্বেদসংহিতায় স্থূলতাৎপর্ঘ্যে'সূৰ্য্য ও ইন্দ্রও সূক্ষতাৎপর্য্যেব্যাপক বলিয়া ব্যবহৃত হইয়াছিল। এখন তাহ কনিষ্ঠাধিকারীদিগের নিকটে স্থল তাৎপর্য্যে ‘চতুভুজ জলদবর্ণ পুরুষোত্তম এবং শ্রেষ্ঠাধিকারীগণের নিকটে ‘ব্ৰহ্ম’ বলিয়াই ব্যবহৃত হইয়া থাকে। ঋগ্বেদ-সংহিতায় বর্তমান শিব অর্থাৎ মহাদেবের তাৎপৰ্য্যবোধক কোন শব্দও নাহি। রুদ্রনামে যে দেবতার স্ততি সকল উক্ত বেদে দুষ্ট হয় তাহার অর্থ প্রবল বায়ুর অধিষ্টাত্রীদেবতা—উনপঞ্চাশ বায়ু সেই রুদ্রের উনপঞ্চাশ পুত্ৰ—ৰ্তাহারদের সাধারণ নাম মরুদগণ । এখন আমারদের মধ্যে র্যাহারা অপেক্ষাকৃত কনিষ্ঠাধিকারী তাহারা ভবানীপতি ও ব্যাঘ্ৰচৰ্ম্মপরিধান-বিশিষ্ট ও নাগ-যজ্ঞোপবীতোপশোভিত রূপে যে দেবতাকে ধ্যান করেন র্তাহাকে রুদ্র কছেন, আর র্যাহারা জ্যেষ্ঠাধিকারী তাহারা ঐ নাম ব্রহ্মের সেই উদ্যতবজ, মহাভয়ানক সূক্ষভাবের প্রতি আরোপ করেন, যাহা পাপবিদ্ধ পুরুষের উপলব্ধি করিয়া তাহাকে কহেন— } : “রুদ্র যত্তে দক্ষিণং মুখং তেন মামৃ পাহি নিত্যং” “হে রুদ্র তোমার যে প্রসন্ন মুখ তাহার দ্বারা আমাদিগকে সৰ্ব্বদা রক্ষা কর।” ৩ । ঋগ্বেদ-সংহিতায় ব্রহ্মারও কোন বিশেষ পরিচয়

  • “বিস্তুপর্ণোহন্তরীক্ষাণ্যখ্যৎ” । স্বৰ্য্যসু্য সুপর্ণঃ’ শোভনপতনঃ “রশ্মিঃ’ ‘অন্তরীক্ষাণি’ অন্তরীক্ষোপলক্ষিতানি লোকত্ৰয়স্থাননি বি-অখ্যৎব্যখ্যৎ বিশেষেণ প্রকাশিতবান্"। স্বর্ঘ্যের শোভন-পতন-রশ্মি অন্তরীক্ষাদি ত্রিভুবন প্রকাশ করিয়াছে। ঋ, সং ১ম । ৪১৭ ।