পাতা:বক্তৃতাকুসুমাঞ্জলি.pdf/৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্রহ্মের আরোপ এবং ত্রিদেব ও গায়ত্রীর বিবরণ। 8? পাওয়া যায় না। তদ্ভিন্ন তাহাতে দুর্গা, কালী, লক্ষী, গণপতি, ষড়ানন, রাম, কৃষ্ণ, প্রভৃতি কোন দেবতার উল্লেখ নাই। কোন কোন স্থানে “প্রজাপতি ঋষি” এই নাম আছে ; কিন্তু সে নামের সম্মুখ-তাৎপর্য্যে এমত কোন লক্ষণ দৃষ্ট হয় না যাহা চতুর্মুখবিশিষ্ট পৌরাণিক ব্ৰহ্মাতে নিঃসন্দেহে প্রয়োগ করা যাইতে পারে। ফলে ‘প্রজাপতিঃ ঋষিঃ’ আর 'অগ্নির্দেবতা’ এই উভয়ের মধ্যে একটি সম্বন্ধ থাকা দৃষ্ট হয়। পশ্চাৎকালে ঐ উভয় দেবতার ভাব ব্রহ্মাতে আরোপিত হইয়াছে, এমত বোধ হইতেছে। অতঃপর যদিও ঋগ্বেদ-সংহিতায় সরস্বতী নামে এক দেবীর উদ্দেশে এমত সকল স্তোত্র-বন্দনা দেখা যায় যে, তাহ বর্তমান সরস্বতী-দেবীর প্রতি প্রয়োগ করা যাইতে পারে, তথাপি বর্তমান সরস্বতী যেরূপ শ্বেতবর্ণ ও আকার-বিশিষ্ট, বেদে তাহার কোন উল্লেখ নাই, বরং তাহাতে সরস্বতীকেঞ্চ নদী বলিয়া নির্দেশ করা হইয়াছে। "মহোহৰ্ণঃ সরস্বতী প্রচেতয়তি কেতুনা” । ‘সরস্বতী’ ‘কেতুনা কি না, প্রবাহরূপেণ কৰ্ম্মণ, মহঃ অর্ণ, কি না, প্রভূতং উদকং, ‘প্রচেতয়তি', কি না, ‘প্রকর্ষেণ জ্ঞাপয়তি জনান অর্থাৎ সরস্বতী স্বীয় প্রবাহরূপ কৰ্ম্মের দ্বারা লোকদিগকে বহুজল জ্ঞাপন করেন। ইহার তাৎপৰ্য্য এই যে, সরস্বতী নদী ণ আপনার প্রবাহ

  • অপরঞ্চ, ঋগ্বেদ সংহিতায় কোন কোন স্থানে সরস্বতীকে এক প্রকার বহ্নি-মূৰ্ত্তি বলিয়া স্তব করা হইয়াছে। “ঈড়া সরস্বতী মহী তিস্রোদেবীক্ষ্ময়োভুবঃ। বহিঃ সীদত্ত্বশ্রিধঃ।” মুখোৎপাদক, ক্ষয়রহিত, দীপ্তিমান, যে ঈড়া, সরস্বতী, মহী তিন বহ্নিমূৰ্ত্তি,র্তাহার এই আস্তীর্ণ দৰ্ভে উপবেশন করুন। ঋঃ বেঃ ১১৩১

+ ইহা ব্ৰহ্মাবৰ্ত্তের সরস্বতী নদী। ঋগ্বেদের কালে এই নদী প্রবাহমান ছিল কিন্তু মহাভারতের সময় ইহা বন্ধ হইয়াছিল। তখন ইহার গর্ভ বালুদ্বারা পূর্ণ হয়। মহাভারতে ইহাকে বিনশন তীর্থ বলিয়া উল্লেখ করিয়াছেন । তীর্থযাত্রা পৰ্ব্বাধ্যায়। Ն)