পাতা:বক্তৃতাকুসুমাঞ্জলি.pdf/৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 R বক্তৃতাকুসুমাঞ্জলি। দেখাইয়া লোকদিগকে ইহাই জানান যে, আমাতে অনেক জল আছে। এতাবতা, যে ঋগ্বেদসংহিতা তাবৎ শাস্ত্রের আদি তন্মধ্যে সৰ্ব্বশক্তিমান ব্রহ্মের তাৎপৰ্য্য-বোধক কোন নাম নাই। ৪ । ঋগ্বেদ-সংহিতায় এবং এমত কি সাম ও যজুৰ্ব্বেদের সংহিতা-ভাগেও অধিকাংশতঃ কেবলই সূৰ্য্য, ইন্দ্র, অগ্নি, বরুণ, বায়ু, রুদ্রগণ, মরুদগণ, অশ্বিনীকুমারদ্বয় এই সকল জগতীয় প্রভাবশালী পদার্থের উপাসনা দৃষ্ট হয়। যদিও অনেক স্থলেই ঐ প্রত্যেক দেবতাকেই স্বতন্ত্র স্বতন্ত্র রূপে মহৎ ক্ষমতাবান ও ধন, ধান্য, ঐশ্বর্য্যের বিধাতা বলিয়া স্তব করা হইয়াছে ; ফলে উপাসকগণের লক্ষ্য যে, একমাত্র জগৎপতিতে ছিল, তাহার সন্দেহ নাই। কিন্তু তখনও পর্য্যন্ত সকলের কারণ ও সকল শক্তির মূলাধার সেই সৰ্ব্বব্যাপী জগৎপতিকে ব্ৰহ্ম বলিয়া ঋষির নামকরণ করেন নাই। ৫ । পশ্চাৎ ক্রমে কতিপয় উজ্জ্বল-বুদ্ধি ঋষির হৃদয়ে সেই জগৎ-প্রসবিতা, নিরঞ্জন ব্রহ্মের অখণ্ড ভাব প্রকাশিত হইয়া উঠিল। র্তাহারা দেখিলেন ইন্দ্র, চন্দ্র, বায়ু, বরুণ প্রভৃতি কেহই স্বয়ন্থ, ভূম, ব্ৰহ্মাণ্ড-পতি নহেন। এক আদি-দেব— অৰুদি-দেব তাহারদের সকলের মধ্যে, মূলে ও উপরে বিরাজ করিতেছেন। তিনি যে কেবল ঐ সকল দেবতার মূলে, মধ্যে, ও উপরে রহিয়াছেন তাহা নহে, কিন্তু তাহারদিগকে স্ব স্ব কার্য্যে নিয়মিত করিতেছেন। শুদ্ধ যে র্তাহারদিগকেই নিয়মিত করিতেছেন এমত নহে, কিন্তু ঋষিরা দেখিলেন যে, তিনি র্তাহাদের আপনারদেরই আত্মার অভ্যন্তরে থাকিয়া বিষয়েতে বুদ্ধি-বৃত্তিকে প্রেরণ করিতেছেন।ঞ্চ আবার তিনি তাবৎ চরাচর

  • এই ভাবটি বর্তমান গায়ত্রীর মূল।