পাতা:বক্তৃতাকুসুমাঞ্জলি.pdf/৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্রহ্মের আরোপ এবং ত্রিদেব ও গায়ত্রীর বিবরণ। Bסי ব্ৰহ্মাণ্ডের অন্তর্গত সমস্ত পদার্থে ব্যাপ্ত থাকিয়া সকলকে শাসন করিতেছেন। তিনি সৰ্ব্ব জীবের জীবন, সৰ্ব্ব পদার্থের সারভাগ প্রাণ-রূপে ব্যাপিয়া রহিয়াছেন। ৬। ঋষিরা ঐরূপে র্যাহাকে সকল শক্তির মূল শক্তি, সকলের আত্মা ও জীবন বলিয়া জানিলেন প্রথমে র্তাহার কোন নাম-করণ করিতে পারেন নাই। ক্রমে তিনি সকল হইতে বৃহৎ বলিয়া তাহার নাম “ব্রহ্ম” রাখিলেন। সেই ব্ৰহ্ম সর্ব ঘটে, তাহাকে ছাড়িয়া কোন জীব কোন পদার্থ তিষ্ঠিতে পারে না ; সুতরাং সকলের সার ভাগই “ব্রহ্ম,” কিন্তু অসার ভাগ অগ্রাহ ; এ নিমিত্তে সকল বস্তুর যাহা পরমার্থ, সকল জীবের যাহা জীবন তাহ ব্ৰহ্মই অর্থাৎ পরমার্থতঃ সকলই ব্ৰহ্ম—“সৰ্ব্বংখন্বিদং ব্ৰহ্ম’ । ব্রহ্মই সকলের আত্মা—এজন্য তিনিই আত্মা । সেই আত্মাতে জীব অধ্যস্ত হইয়া আত্মানামে উক্ত হয়। পূর্বে র্তাহারা “ব্রহ্ম’ শব্দে স্তোত্ররূপ মন্ত্র ও অন্ন বলিয়া জানিতেন, আর মন্ত্র ও অন্নকেই বড় বলিয়া বোধ ছিল। অতএব সেই ব্রহ্ম নামটি জগৎকৰ্ত্তাকে প্রদান করিলেন, এবং স্বীয় স্বীয় আত্মাকে সকল অপেক্ষ বেশি নিকট, আত্মীয়, প্রিয় ও জাগ্ৰত বলিয়া জানিতেন, সে জন্য, অথবা বোধ হয়, তিনি জগতের আত্মা এই বোধে, আত্মা নামটিও র্তাহাকে দিলেন। কিন্তু পরক্ষণেই যখন দেখিলেন যে, মানবের আত্মায় অনেক ভ্রম প্রমাদ অাছে, তাহা তো জগৎপতিতে ংলগ্ন হয় না; তখন র্তাহারা বলিলেন যে, “যে আত্মা সকলে নিদ্রা গেলে জাগিয়া থাকেন সেই আত্মা ব্ৰহ্ম” । ক্রমে ক্রমে সেই আত্মাকে যাহাতে লোকে যথাবৎ উপলব্ধি করিতে পারে, নাম লইয়া আর দ্বন্দ্ব না হয়, এজন্য ঐ আত্মা-শব্দে একটি