পাতা:বক্তৃতাকুসুমাঞ্জলি.pdf/৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

88: বস্তৃতাকুহুমাঞ্জলি। “পরম” শব্দ যোগ করিয়া দিলেন। যাহা আমারদের আত্মা তাহা সংসারী ও ব্যবহারিক জীবাত্মা, আর যে উচ্চশক্তি সৰ্ব্বভূতের অন্তরাত্মা তাহাই পরমাত্মা অথবা মুখ্য আত্মা। তাঁহার সকল দেব, পদার্থ ও জীবকে ব্রহ্ম কহিয়া ভাবিলেন, কি জানি মানব জগৎ-পতিকেই যদি পরিমিত জগৎ রূপে দর্শন করে অথবা ব্ৰহ্ম-শব্দে পূর্ব-প্রতিপালিত সংস্কারানুসারে যদি অন্ন ও বেদকেই বুঝে, এজন্য র্তাহাকে পরব্রহ্ম কহিলেন। তাহাতে ইহাই প্রতিপন্ন হইল যে, তিনি অন্ন ও মন্ত্র হইতে প্রধান । সকলের অষ্টা ও প্রকাশক। ৬ (ক)। অনেক সময়ে ঋষির স্বীয় স্বীয় আত্মাতে সেই পরব্রহ্মের এতদূর জ্বলন্ত ভাব উপলব্ধি করিতেন যে, তাহারা তখন আপন আপন সত্তা ভুলিয়া যাইতেন। তাদৃশ সময়ে সহজেই তাহারদের মনে “অহং ব্রহ্ম” এই ভাবটি উদয় হইত। তাদৃশ ব্রহ্ম-ভাব হৃদয়ে উপলব্ধি না হইলেও র্তাহার বিচার-কালেও সকলকেই ব্ৰহ্ম বলিতেন । কিন্তু তাহারদের নিজ নিজ চৈতন্য-শক্তি অথবা অন্য পদার্থ যে স্বষ্টি-স্থিতিপ্ৰলয়-কর্তা পরব্রহ্ম নহে এ বোধ তাদৃশ বিচার-কালে তাহারদেয় থাকিত # ৭ । এইরূপে ঘোরতর কৰ্ম্মকাণ্ডের মধ্য হইতে যখন ভারত-খণ্ডে জগৎপতির মধুর ব্রহ্ম-নাম প্রকাশিত হইল তখন ব্রাহ্মণ উপাধি নবতর তাৎপর্ঘ্যে স্থদৃঢ় হইল। পূর্বে যাহার বেদকে ধারণ করিতেন এবং ব্রহ্মা-নামক পুরোহিত . * পথ্য-প্রদান ১৭৪৫শক ১০৮ পৃ।