পাতা:বক্তৃতাকুসুমাঞ্জলি.pdf/৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্রহ্মের আরোপ এবং ত্রিদেব ও গায়ত্রীর বিবরণ। 86t ছিলেন র্তাহারাই ব্রাহ্মণ বলিয়া গণ্য হইতেন । কিন্তু এখন ব্ৰহ্মজ্ঞানী ঋষিরা বিশেষ রূপে ব্রাহ্মণ নাম লইলেন। র্তাহার যে খণ্ডে বিশেষ রূপে বাস করিলেন তাহার নাম ব্রহ্মাবৰ্ত্ত ও ব্রহ্মর্ষি-দেশ হইল। ব্রহ্মবাদী, ব্রহ্মর্ষি,ব্ৰহ্মজ্ঞ, ব্রহ্মবিৎ প্রভৃতি পবিত্র উপাধি ব্ৰহ্মজ্ঞানী ঋষিগণকে প্রদত্ত হইল। ব্রহ্মবোধবিহীন ফল-কামনা-বিশিষ্ট যজ্ঞাদি কৰ্ম্মকে এবং ব্রহ্ম-নাম-বিশিষ্ট বেদ, মন্ত্র, অন্ন এবং সঙ্গীতকে পরব্রহ্ম হইতে পৃথক করা হইল। ঋষিগণের ব্রহ্মজ্ঞানাভিষিক্ত হৃদয় হইতে নিশ্বাসবং স্বাভাবিক ভাবে ব্ৰহ্ম-মন্ত্ৰ-ময়ী পরব্রহ্ম-রহস্য-পরিপূর্ণ পরী-ব্ৰহ্মবিদ্যা প্রকাশিত হইল। ক্রমে ব্ৰহ্মজ্ঞানী ব্রাহ্মণেরা এই ভারতবর্ষে এক মহাপ্রবল সম্প্রদায় এবং বর্তমান ব্রাহ্মণংশের সংস্থাপক হইয়া উঠিলেন এবং কালেতে ব্ৰহ্মরূপ সারত্ব সহকারে বৈদিক ক্রিয়া কৰ্ম্মকেও নিয়মিত করিতে লাগিলেন । ৮ । যখন সেই উন্নত ব্রাহ্মণ-সমাজে লোক-সংখ্যা বৃদ্ধি হইয়া উঠিল, বিশেষতঃ বৌদ্ধধৰ্ম্ম যখন ভারতীর ধৰ্ম্ম

  • পূৰ্ব্বে বেদের নাম ব্রহ্ম ছিল, এজন্য যাহার বেদ ধারণ করিতেন র্তাহাদের নাম ব্রাহ্মণ ছিল। অতঃপর ব্ৰহ্মা-নামক পুরোহিতেরাও যে ব্রাহ্মণ নামে অভিহিত হইতেন তাহার প্রমাণ ঋগ্বেদসংহিতায় নিম্নস্থ ইন্দ্র-স্তোত্রে আছে। “গায়ন্তি ত্বা গায়ত্রিণোহচ্চন্ত্যৰ্কমর্কিণঃ। ব্ৰহ্মাণত্ত্বা শতক্রতে উদ্বংশমিব যেমিরে ॥” হে শতক্রতু ইন্দ্র । গায়ত্রিণঃ ত্বাং গায়ন্তি উদগাতার তোমার গান করেন। ‘অর্কিণ: অর্কং ত্বাং আর্চন্তি’—‘অঙ্কং’ কি না, অর্চনীয় যে তুমি তোমাকে ‘অর্কিণ: কি না হোতার অর্চনা করেন। এবং ‘ব্রহ্মাণঃ কি না ব্রাহ্মণের “ত্বাং উৎ-যেমিরে বংশং ইব’ স্বীয় বংশের ন্যায় তোমাকে উন্নত করেন। হোতা, অধ্বযু্য, উদগাতা ও ব্রহ্মা এই চারি প্রকার বৈদিক ঋত্বিক। তন্মধ্যে এখানে উদগীতা, হোতা ও ব্রহ্মা এই তিনের উল্লেখ আছে। সুতরাং এখানে ব্রাহ্মণ শব্দ “ব্রহ্মা-পুরোহিতগণকেই” নির্দেশ করিতেছে-ব্রহ্মজ্ঞানীকে নহে।