পাতা:বক্তৃতাকুসুমাঞ্জলি.pdf/৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

o বস্তৃতাকুসুমাঞ্জলি। রাজ্যে নবতর বিপ্লব উপস্থিত করিল তখন স্বভাবতঃ ব্রহ্মবাদী ব্রাহ্মণদের মধ্যে নানা প্রকারের অধিকার সমুৎপন্ন হইল। কেহ ব্ৰহ্মজ্ঞানী ও ব্রহ্মোপাসক থাকিলেন, কেহ সেই বুদ্ধিমনের অগোচর ব্রহ্মকে ধারণ করিতে না পারিয়া নিম্বাধিকারে অবতরণ করিতে লাগিলেন। নামে সকলেই ব্রাহ্মণ থাকিলেন এবং ব্রহ্মই যে আদি-দেব, অনাদি-দেব ও দেবাদিদেব তাহাও সকলের জানা থাকিল। জানা থাকিল এই মাত্র কিন্তু অর্থগুরূপে তাহাকে অনেকে ধারণ করিতে পারিলেন না। কিন্তু ব্ৰহ্মকে ধারণ করিতে পারা যাউক আর না যাউক মানবের হৃদয়ে যে উপাসনা-তৃষ্ণা বিরাজমান, তাহাকে কে স্থগিত করিবে ? অতএব তাদৃশ দুর্বলাধিকারী ব্রাহ্মণের প্রাচীন বৈদিক ও পশ্চাতের ব্রাহ্ম ধৰ্ম্ম হইতে কতক কতক লইয়া ভারতে এক মিশ্র ধৰ্ম্মের স্থাপনা করিলেন। র্তাহারদের যেমন অধিকার ও তৎকালে ধৰ্ম্ম সম্বন্ধে ভারতের যেমন অবস্থা তদনুযায়ী ঐ মিশ্রধৰ্ম্ম ধীরে ধীরে 'স্বভাবতঃ’ প্রকাশ পাইতে লাগিল। নতুবা কোন একজন লোক বা কোন একটি সম্প্রদায় পুরুষ-ব্যাপার দ্বারা বা-বুদ্ধিপূর্বক তাদৃশ ধৰ্ম্মরচনা করেন নাই। স্মাৰ্ত্ত স্বীয় নবীন স্মৃতিতে জমদগ্নিপ্রণীত এই বচনটি যে উদ্ধার করিয়াছেন—অর্থাৎ— “চিন্ময়স্তাদ্বিতীয়স্য নিষ্কলস্তাশরীরিণঃ । উপাসকানাংকার্য্যাৰ্থং ব্রহ্মণোরূপকল্পনা ।” তাহার এরূপ তাৎপৰ্য্য নহে যে, ব্ৰহ্মজ্ঞানী ঋষিরা দুৰ্ব্বলদিগের হিতের নিমিত্তে দয়া করিয়া পুরুষ-ব্যাপার দ্বারা ব্রহ্মের রূপ কল্পনা করিয়াছেন, বস্তুতঃ সেরূপ কেহ করে নাই। উপাসকের ব্রহ্মকে ধারণ না করিতে পারিয়া এক দিকে সেই অখণ্ড