পাতা:বক্তৃতাকুসুমাঞ্জলি.pdf/৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8b- বক্তৃতাকুসুমাঞ্জলি। পদার্থকে ব্রহ্মস্বরূপে বর্ণন করার মূল বৃত্তান্ত প্রকাশ করা যাই তেছে । - ১০। প্রথমতঃ, উপনিষদের ঋষিরা, দেবগণ যে, স্বতন্ত্র উচ্চশক্তি নহেন, তাহ কৰ্ম্মকাণ্ডীয় ঋষিগণকে জানাইবার নিমিত্তে কহিয়াছিলেন যে, সকলেই ব্ৰহ্ম ৷ ব্ৰহ্ম সকলের নিয়ন্তা, সকলের প্রাণ, সকলের সার, সুতরাং সকলই ব্রহ্ম। এই কথা বলায় ইহাই প্রকাশিত হইল যে, ইন্দ্র, সূৰ্য্য, অগ্নি আদি দেবতারা স্বয়ং বড় নহেন। সকলই সেই আদিদেবের অধিষ্ঠানে বড়। ইহাতে ইন্দ্রাদি বেদগণের স্থলভাব ও স্বতন্ত্র দেবত্ব আর থাকিল না। “সকলই ব্ৰহ্ম’ এই ঘোষ৭াতে যদিও ইন্দ্র, বায়ু, অগ্নি আদি দেবতারাও ব্রহ্মই থাকিলেন, কিন্তু পূর্বে যাহারা দেবতা ছিল না তাহদের সঙ্গে সমান হইয়৷ গেলেন। অতঃপর যখন র্তাহারদের প্রতি ব্ৰহ্ম-আরোপের এই তাৎপৰ্য্য বুঝা গেল যে, ব্রহ্ম সকলের নিয়ন্ত ও প্রাণ ও পূর্ণরূপে সকলেতে বর্তমান বলিয়া ব্রহ্মেরই সর্বব্যাপ্তিত্ব প্রকাশার্থে ঐরুপ বলা হইয়াছে, তখন একটি তৃণের উপরিও স্বতন্ত্ররূপে ইন্দ্রাদির ক্ষমতা রহিল না। কেবল কূটস্থ ব্রহ্মই জয়ুযুক্ত হইলেন । এতাবত, একভাবে ইন্দ্রাদি দেবগণ অপর সকলের সহিত সমভাবে ব্ৰহ্ম ; অন্যভাবে দেবত্ব-বিহীন । এই প্রথম সিদ্ধান্ত । t ১১ । দ্বিতীয়তঃ, ব্রহ্ম সকলেরই আত্মাতে, এজন্য ব্রহ্মদর্শন-কালে আপনার জীবাত্মাকে হেয় করিয়া বা ভুলিয়া গিয়া সকলেই কহিতে পারেন “অহংব্রহ্ম।” কিন্তু কেহই বাস্তবিক

  • তলৰকার উপনিষদের আখ্যায়িকা দেখহ।