পাতা:বক্তৃতাকুসুমাঞ্জলি.pdf/৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্ৰহ্মের আরোপ এবং ত্রিদেব ও গায়ত্রীর বিবরণ। 8: ব্ৰহ্ম নহেন। ঐ প্রকার কথায় অধিক ভক্তি ও ব্রহ্মের প্রতি মানবের বিশেষ মমতা-বুদ্ধির পরিচয় পাওয়া যাইতেছে। এই প্রকার ভাবের ভাবুক হইয়াই অনেক ব্রহ্মর্ষি আপনারদিগকে ব্ৰহ্মরূপে বর্ণন করিয়াছেন ৷ শ্ৰীকৃষ্ণও ঐ ভাবের ভাবুক হইয়াই আপনাকে ব্রহ্ম বলিয়াছেন। এবং শাস্ত্রে এমনও লেখা আছে যে, ইন্দ্রও আপনাকে ব্রহ্ম বলিয়৷ উল্লেখ করিয়াছেন “প্রাণোহস্মি প্রজ্ঞাত্মা তৎমামায়ুর মৃতমিত্যুপাসস্ব।” জ্ঞানস্বরূপ জীবনদাতা ও মরণশূন্য যে ব্ৰহ্ম তাহা আমিই, আমার উপাসনা করহ। “মামেব বিজানীহি” কেবল আমাকেই জান। (ইতি কৌষীতকী ব্রাহ্মণোপনিষদে ইন্দ্রের উক্তি ) এইরূপে আপনাকে ব্রহ্ম বলিয়া প্রকাশ করার দুই প্রকার তাৎপর্য্য আছে। এক প্রকার যথার্থ ব্রহ্মজ্ঞানে—কেবল ব্ৰহ্মদর্শনে—আপন অপেক্ষা ব্রহ্মেতে মমতা বশতঃ তেমন ভাব হইতে পারে। দ্বিতীয় প্রকার—এইরূপ বিচারের দ্বারায় “আমি ব্ৰহ্ম’ বলিয়া স্থির হইতে পারে যে, “আমার আত্মার অন্তরাত্মা ও প্রাণ ঈশ্বরই; স্থতরাং আমি আর কে ?—তিনিই” । শেষোক্ত এই বিচারের মধ্যে হয় তো কেহ আপনাকে ব্ৰহ্ম বলিয়া হৃদয়ে উপলব্ধি করিতে পারে না । কেন না, বাহ্যজ্ঞানশূন্য-অন্তর্দৃষ্টি ব্যতীত তাদৃশ উপলব্ধি হয় না। ইতি দ্বিতীয় সিদ্ধান্ত । ১২ । তৃতীয়তঃ, উপনিষদে যেমন বলিলেন সকলেই ব্রহ্ম, তেমন আবার পুনঃ পুনঃ ইহাও বলিলেন যে, রূপ নামাদি সকলই জন্য এবং নশ্বর এবং ব্রহ্ম সৰ্ব্বঘটে থাকিয়াও কিছুতে লিপ্ত নহেন; অতএব যদি অধিকার হয় তবে রূপ নাম