পাতা:বক্তৃতাকুসুমাঞ্জলি.pdf/৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

фо বস্তৃতাকুসুমাঞ্জলি । নির্দেশের দ্বারা ব্রহ্মোপাসনা না করিয়া নিরবচ্ছিন্ন ব্রহ্মকেই পূজা করা শ্রেষ্ঠ কল্প। উপনিষদের এইরূপ সিদ্ধান্তে সূর্য, চন্দ্র, অনিল, অনল, ইন্দ্র, যম, রুদ্র, বরুণ সকলেই দেবত্ব শূন্য হইলেন। যখন ব্যবহারিক দেবগণের মধ্যে এই প্রলয়-দশ উপস্থিত হইল, তখন সেই সকল দেবতাদের ভক্তেরা ব্ৰহ্মরূপ জীবন-দান দ্বারা তাহারদিগকে জীবিত রাখিলেন । ব্রহ্ম যদিও সকলেতে আছেন কিন্তু উক্ত ভক্তেরা ভাবিলেন যে, ঐ সকল দেবতাতেই তিনি বিশেষরূপে আছেন—যেহেতু উহঁরা তাহারদের ইষ্টদেবতা। ইতি তৃতীয় সিদ্ধান্ত। ১৩। চতুর্থতঃ, ঐরূপে ব্ৰহ্মবোধ সহকারে ঐ সকল দেবগণের পূজা করিতে করিতে ক্রমে ভারতে পৌত্তলিকতার স্বষ্টি হইল। বেদের মধ্যে ইন্দ্র আর সূৰ্য্য পরস্পর সখ। ছিলেনঃ স্বৰ্য্যের এক নাম বিষ্ণু ছিল। ঐ ইন্দ্র ও বিষ্ণু ক্রমে যুগলত্ব ত্যজিয়া একত্বে দাড়াইলেন। ইন্দ্র জলদের কর্তা—অস্ত্ররনাশক ছিলেন, “সূর্য্য” কি না, বিষ্ণু তমোনাশক, সৰ্ব্বপাপঘ্ন, ত্রিলোকব্যাপী ছিলেন। উভয়ে অনন্য মিথুন হইয়া মেঘবর্ণ, চতুভূজ রূপে বর্তমান বিষ্ণু অর্থাৎ ভগবান নারায়ণ লোকমধ্যে পূজিত হইতে লাগিলেন। ইন্দ্র যেমন লোকদিগকে পর্জন্য-বর্ষণদ্বারা এবং দানব-বিনাশ দ্বারা পালন করিতেমন এখন সংযোজিত-ক্ষমতাযুক্ত বিষ্ণু সেইরূপ দৈত্য-দানবনিপাত ও প্রজাদিগকে যথোচিত অন্ন জল পরিবেষণ দ্বারা পালন করিতে লাগিলেন। ইন্দ্রের বজ্রণ বিষ্ণুর হস্তের গদা

  • “ইন্দ্রস্ত যুজ্যঃ সখা”—স বিষ্ণু ইন্দ্রস্ত অমুকুলসথা ভবতি—সেই বিষ্ণু ইন্দ্রের সহায় ও সখা । ঋ: সং ১ । ১২৭ ৷

+ “বজিনং”—বজযুক্তং ঋ ১। ৬৫ ৷ “ইন্দ্রোবজী” অয়ং ইন্দ্রঃ বজী— दङ्गबूख्: बै ७२ ।।