পাতা:বক্তৃতাকুসুমাঞ্জলি.pdf/৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্রহ্মের আরোপ এবং ত্রিদেব ও গায়ত্রীর বিবরণ। (to হইল। সূর্য্যের বাহন অরুণপক্ষী বিষ্ণুর বাহন গরুড় হইল। সূর্য্যের পত্নী সরস্বতী ও লক্ষী বিষ্ণুর পত্নী হইলেনঃ পূর্বকার ইন্দ্র ও সূৰ্য্য নামমাত্র থাকিলেন ; সেই বিষ্ণুতে ক্রমে ব্রহ্মত্ব আরোপিত হইল। কিন্তু সূৰ্য্য ও ইন্দ্রের ক্ষমতাযুক্ত বিষ্ণু জগতের পালনকর্তা এজন্য ব্রহ্মের যে পরিমাণ ক্ষমতা বিষ্ণুতে দৃষ্ট হইল তাহাকে ব্রহ্মের পালন-কর্তৃত্ব বলিয়াই বিবেচনা করা গেল। নতুবা এমত বিবেচনা হয় না যে, ব্রহ্মের পালন কর্তৃত্বকে অগ্রে স্বতন্ত্ররূপে দৃষ্টি করিয়া সেই খণ্ডিত কর্তৃত্বের রূপ-কল্পনা করত বিষ্ণু-মূৰ্ত্তি প্রকাশ করা হইয়াছে। বরং এইরূপ তাৎপর্য্যেই প্রাচীন বেদসংহিতার সহিত পাশ্চাত্য ব্রাহ্মণ্য ধৰ্ম্মের ঐক্য থাকিতেছে। কিন্তু বিষ্ণুর উত্থানে, ইন্দ্র চিরকালের নিমিত্তে পতিত হইলেন। এই ভাবটিকে ভাল করিয়া বুঝাইবার নিমিত্তে পুরাণকারেরা কতই অখ্যায়িকার স্বষ্টি করিয়াছেন—তাহাতে বেশ প্রকাশ আছে যে, বিষ্ণু অনেকবার ইন্দ্রকে পরাজয় করিয়াছিলেন। ১৪। অতঃপর শিব । বোধ হয় ইনি আদিতে অন্য কোন নামে ভারতীয় আদিম দানব ও রক্ষবংশের দেবতা ছিলেনণ । পুরাণে পাওয়া যাইতেছে শুম্ভ, নিশুম্ভ, হিরণ্যকশিপু, রাবণ প্রভৃতি দৈত্য ও রক্ষগণ শিবের ভক্ত ছিলেন। শিবলিঙ্গও সম্ভবতঃ ভারতীয় আদিম দস্থ্যকুলের দেবতা ছিলেন । যখন

  • তত্ত্বঃ বোঃ পঃ ভাদ্র ১৭৯১ । ৯৫ পৃ। ৪ সংখ্যক টিপ্পনী।

† রাক্ষস জাতীয় দেবতাসকল যে ঋগ্বেদের সময়ে আর্য্যবংশীয় দেবতা হইতে স্বতন্ত্র ছিল এবং বৈদিক ঋষিরা যে সেই রক্ষকুলের দেবগণকে ভয় করিতেন, ঋগ্বেদ-সংহিতায় তাহার প্রমাণ আছে। যথা—“মোযুণ: পরাপর নিস্কৃতিস্থ হন বধীৎ।” হে মরুদেবতাসকল তোমারদের অনুগ্রহে অতি প্রবল রাক্ষস জাতীয় দেবতা যেন আমারদিগকে বধ না করে । ঋ সং ১৪৬২