ব্রহ্মের আরোপ এবং ত্রিদেব ও গায়ত্রীর বিবরণ। :סי ছিল—সুতরাং শিবের ও চণ্ডীর বাসস্থান সেই দেশেই ছিল, তাহা অার পরিবর্তিত হইল না । কিন্তু মনে করা হইল যে, পূৰ্ব্বকালে আর্য্য-ঋষি দক্ষ-প্রজাপতির যে অনেক কন্যা ছিল, তাহার মধ্যে এক কন্যা হিমালয়ে জন্মিয়াছেন। এইরূপে পূর্বকার বৈদিক ও আস্থরিক ভাব একত্রে মিশ্রিত হইয়া বৰ্ত্তমান হর-পাৰ্ব্বতী হইলেন। শুদ্ধ তাহাই হইয়া ক্ষান্ত থাকিলেন না। উপনিষদের ভাবও গিয়া তাহাদিগকে ব্রাহ্মণ্য-জীবন দান করিল। উপনিষৎমতে ব্ৰহ্মই সার। র্তাহারই পূজা। তাহ ভিন্ন কিছু নাই। র্তাহার ভিন্ন আর কাহারে পূজা নাই। অতএব ব্রাহ্মণের শিবের লৌকিক গুণানুসারে বুঝিয়া লইলেন যে, ইনি ব্রহ্মের প্রলয়-কর্তৃত্ব-স্বরূপ। নতুবা ঈশ্বরের প্রলয়কর্তৃত্বের রূপকল্পনা করিয়া তাহারা মহাদেব-মূৰ্ত্তি প্রকাশ করেন নাই। শিবেতে ঐ গুণ আরোপিত হইল এইমাত্র। ১৫ । পুরাণে লেখেন ব্রহ্মা ব্রহ্মের স্বষ্টি-কর্তৃত্ব-স্বরূপ। ঈশ্বরের স্বষ্টিকর্তৃত্বের রূপ কল্পনা করিয়া ব্রহ্মাকে প্রকাশ করা গিয়াছে। কিন্তু ব্যবহারিক ব্ৰহ্মা গ্রু সম্বন্ধে আমার ঠিক সেরূপ অভিপ্রায় নহে। ব্রহ্মের স্বষ্টি করিবার কর্তৃত্বকে বা তাহার রজোগুণকে পৃথক্ করিয়া লইয়া যে, সেই শক্তি বা গুণ দ্বারা ব্ৰহ্মা নামে একটি চতুর্মুখ বিশিষ্ট দেবতা প্রস্তুত করিয়া লওয়া হইয়াছে আমার এমত বোধ হয় না। অপরঞ্চ, দানব-বংশের কোন দেবতা ছিলেন বলিয়াও ব্রহ্মাকে কহ৷ যাইতে পারে না। আমি পূর্বে বলিয়াছি যে, বেদসংহিতার
- ব্রহ্মের স্বষ্টি কর্তৃত্ব স্বরূপ হিরণ্যগর্ভ ও ব্রহ্মা নামে যে দেবতা তিনি নিরাকার। সেই ভাবটি ব্যবহারিক ব্ৰহ্মাতে প্রয়োগ হইয়াছে।
