পাতা:বক্তৃতাকুসুমাঞ্জলি.pdf/৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্রহ্মের আরোপ এবং ত্রিদেব ও গায়ত্রীর বিবরণ। & ot পূজিতে লাগিলেন। তাহাতে উক্ত প্রজাপতি ও অগ্নির্দেবতা একত্রে ব্রহ্ম হইলেন। অগ্নি যিনি যাগযজ্ঞের পুরোহিত ও পৃথিবীর দেবতা ছিলেন এবং মনুপ্রজাপতি গ্রু যিনি লোকের জনক ও কিয়দংশে বেদের স্রষ্টাও ছিলেন, এখন তাহারা উভয়ে ব্ৰহ্মা হইলেন। ব্রহ্মা এই নামটি পূর্বেও ছিল। পূর্বে বলিয়াছি যজ্ঞেতে ব্ৰহ্মানামে এক প্রকার প্রধান পুরোহিত ছিল। কিন্তু অগ্নিই সর্বপ্রধান পুরোহিত ‘অগ্নিমীড়ে পুরোহিতং সুতরাং অগ্নিই বাস্তবিক ব্ৰহ্মা ণ । আবার দেখা যাইতেছে ঐ ব্ৰহ্মাতেই ব্রহ্মের এক-পাদ-স্বরূপ স্বষ্টি-কর্তৃত্ব ও হিরণ্যগৰ্ভত্ব আরোপিত হইয়াছে। কিন্তু ব্ৰহ্মাতে স্থষ্টি-কর্তৃত্ব কেন আরোপিত হইল ? তাহার উত্তরে উপরেই বলা গিয়াছে যে, ব্ৰহ্মা যে অগ্নি ও প্রজাপতির সংযোগে উৎপন্ন তাহারা পৃথিবীর দেবতা, প্রজার স্বষ্টিকৰ্ত্ত ও পুরোহিত ছিলেন। অতএব ব্ৰহ্মা এক প্রকার পৃথিবী, প্রজ, যজ্ঞ ও বেদের কর্তা থাকায় স্থতরাং

  • ঋগ্বেদসংহিতার প্রথম মণ্ডলের ষোড়শ অনুবাকে প্রথম স্থক্তের পঞ্চম শ্লোকে “মনু” শব্দে “ব্রহ্মা’ অর্থ করা হইয়াছে। “বৃহস্পতে সদমিল্লঃ সুগংকুধি শংনোৰ্য্যন্তে মনুৰ্হিতং তদীমহে”। টীকা—“হে ‘বৃহস্পতে সদমিৎ’ সদৈব নিঃ’ অস্মাকং ‘মুগং স্থখনামৈতৎ সুখং কৃধি’ কুরু, অপিচ ‘তে তবস্বভূতং ‘শং’ শমনীয়ানাং রোগাণাং উপশমনং যোঃ পৃথক্ কৰ্ত্তব্যানাং ভয়ানাং যাবনং পৃথক্ করণং ‘মমুহিতং মমুনা ব্রহ্মণা হিতং ত্বৰ্য্যবস্থাপিতং যদ্বা মনুষ্যাণামমুকুলং এবম্বিধং শমনং যাবনঞ্চ যদস্তি তৎ ঈমহে যাচামছে। অর্থ—“হে বৃহস্পতি ! তুমি সৰ্ব্বদা আমারদিগের মুখ বিধান কর, এবং মনু, কি না, ব্ৰহ্মা কর্তৃক স্থাপিত তোমার যে রোগোপশম ও ভয়হরণ শক্তি আছে তাহা আমরা প্রার্থনা করি।”—ফলে মনুতে যে ব্ৰহ্মত্ব আরোপ হইয়াছিল তাহ মনুসংহিতার ১২অধ্যায়ের ১২৩ শ্লোকেও প্রকাশ আছে “এতমেকে বদন্ত্যগ্রিং মনুমন্যে প্রজাপতিং।” এই পরমাত্মাকে কেহ অগ্নি কেহ 'মনুনামক প্রজাপতি’ ভাবিয়া উপাসনা করে ।

+ অগ্নিই যে ব্ৰহ্মা এসংস্কার সাধারণ হিন্দুসমাজে বেশ প্রচলিত আছে।