পাতা:বক্তৃতাকুসুমাঞ্জলি.pdf/৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(Ն - বস্তৃতাকুসুমাঞ্জলি। বেদসংহিতা ও ব্রাহ্মণখণ্ডের বিবরণ আর বর্তমান প্রতিমাপূজার ব্যাপার স্মরণে রাখিয়া যদি বর্তমান কালে কোন এক যজমানের ধৰ্ম্মানুষ্ঠান দৃষ্টি করেন, তবে স্পষ্টই দেখিতে পাইবেন যে, তাদৃশ যজমান বিবাহকালে সূৰ্য্য, বায়ু, অগ্নিরাদি দেবতার দোহাই দিতেছেন, কিন্তু গতি; মুক্তি, ধন, ধান্য প্রার্থনার সময় শিব, বিষ্ণু ও প্ৰাৰ্ব্বতীকে ডাকিতেছেন। ফলে শাস্ত্রের গৃঢ় সিদ্ধান্ত এই যে, উক্ত সর্বপ্রকার দেবকে অবলম্বন ব্রহ্মোপাসনার উদ্দেশে। সকল দেবতা, সকল বেদ, সকল কৰ্ম্মই ব্ৰহ্মপর। ব্রহ্ম যদিও তুরীয় ভাবে সকলের অতীত, কিন্তু কুটস্থ ভাবে সকল উপাসনায় বিরাজমান। মানবের উপাসনা-তৃষ্ণ ব্ৰহ্মরূপ বারিই প্রার্থনা করে এবং তাছাই লাভ করিয়া কৃতাৰ্থ হয়। দুর্বল, র্তাহার ভাবকে যতই পরিমিত ও স্থল দৃষ্টিতে দেখুক, যতই সহজে আপনার বুদ্ধি মনের গ্রাহ করিয়া লউক, কিন্তু সৰ্ব্বপ্রকার পূজা অৰ্চনায়, সৰ্ব্ব যজ্ঞে, সৰ্ব্ব শাস্ত্রে, আদি অন্তে তিনিই উদ্দেশ্য। স্থল ভাব পরিত্যাগ পূর্বক সৰ্ব্ব প্রকার ধৰ্ম্ম কৰ্ম্মের তুরীয় ও কূটস্থ পদে র্যাহারা তাহাকে দর্শন করেন র্তাহারাই ব্রহ্মজ্ঞানী। }১৮। নাম-রূপেতে যতপ্রকার কারণে ব্রহ্মের আরোপ হইয়। আসিতেছে ও আসিতে পারে এবং ব্রহ্মতে যে সমস্ত কারণে ক্ষুদ্রত্ব আরোপ করা হয় নাই ও হইতে পারে না তাহ বিস্তারিত রূপেই বলা গেল। এখন চিন্তা করিয়া দেখ ভারতধৰ্ম্মের পুরাবৃত্তের মধ্যে কতই বিপ্লব কতই পরিবর্তন হইয়াছে তথাপি তাহার মধ্যে কেমন এক আশ্চৰ্য্য সংযোগ-সূত্র ও ব্রহ্মজ্ঞান বর্তমান রহিয়াছে। ইন্দ্রাদি দেবগণ হইতে, ব্ৰহ্মজ্ঞান ও পশ্চাতের ব্রাহ্মণ্যধৰ্ম্মে এবং এমত কি তন্ত্রোক্ত দেবগণপৰ্য্যন্তে