পাতা:বক্তৃতাকুসুমাঞ্জলি.pdf/৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬২ বস্তৃতাকুসুমাঞ্জলি। ছিলেন কিন্তু চতুর্থ যে অথৰ্ব্ববেদ তাহা স্বষ্টি করিয়াছেন। ফলতঃ ব্ৰহ্মা যখন ব্রাহ্মণ-সমাজের আদি মূৰ্ত্তিমান দেবতা, আর তিনিই যখন অথর্ববেদ স্বষ্টি করিলেন, তখন তিন বেদ হইতে অথৰ্ব্ববেদই শ্রেষ্ঠ রূপে গণ্য হইল। মুণ্ডক উপনিষদের প্রথমেই আছে যে— “ব্রহ্মা দেবানাং প্রথমঃ সংবভূব বিশ্বস্ত কর্তা ভূবনস্ত গোপ্ত। স ব্রহ্মবিদ্যাং সৰ্ব্ববিদ্যাপ্রতিষ্ঠাৎ অথৰ্ব্বায় জ্যেষ্ঠপুত্রায় প্রাহ। অথৰ্ব্বণে যাং প্রবদেত ব্ৰহ্মাথৰ্ব্বা তাৎ পুরোবাচাংগিরে ব্রহ্মবিদ্যাং স ভরদ্বাজায় সত্যবাহীয় প্রাহ। ভরদ্বাজোইঙ্গিরসে পরাবরাং ।” দেবতাদিগের প্রধান ব্রহ্মা সকল বিদ্যার আশ্রয় যে ব্রহ্মবিদ্যা তাহা তাহার জ্যেষ্ঠপুত্র অথর্বকে দিলেন, অথৰ্ব্ব তাহা অঙ্গিরকে, অঙ্গির ভরদ্বাজকে, ভরদ্বাজ অঙ্গিরসকে প্রদান করিলেন। ঐ ব্রহ্মবিদ্যাই অথৰ্ব্ববেদ । যদিও প্রাচীনত্ব-প্রিয় কোন পণ্ডিতই অথৰ্ব্ববেদকে বেদ মধ্যে গণনা করেন নাই, যদিও মনুস্মৃতিতে কেবল তিন বেদকেই গ্রহণ করিয়াছেন, তাথাপি নানা পুরাণে উক্ত হইয়াছে যে, ঐ চারি বেদই ব্রহ্মার মুখের বাণী। ব্রহ্মার চারি মুখ তাহারই পরিচয়-স্বরূপ । ২০ । মনুস্মৃতির ২য় অধ্যায়ের ৭৬ শ্লোকে আছে “অকারঞ্চীপু্যকারঞ্চ যকারঞ্চ প্রজাপতিঃ। বেদত্ৰয়ান্নিরছুহস্তুভুবঃস্বরিতীতি চ।” ব্ৰহ্ম ঋক্, যজুঃ,সাম এই বেদত্ৰয় হইতে ও কারের অবয়বীভূত অকার, উকার, মকার ও ভূঃ, ভুবঃ, স্বঃ এই তিন ব্যাহৃতি উদ্ধৃত করিয়াছেন। এ বচনের দ্বারা প্রমাণ হইতেছে যে, অকার—ব্রহ্মা, উকার—বিষ্ণ, যকার—শিব আর ভূঃ–পৃথিবী,