পাতা:বক্তৃতাকুসুমাঞ্জলি.pdf/৭৯

Φ. Φ. বস্তৃতাকুসুমাঞ্জলি । সূৰ্য্যান্তর্যামী কিন্তু যোহসৌ ভগঃ অস্মাকং সৰ্ব্বেষাং শরীরিণামন্তঃস্থোহন্তর্যামী সন বুদ্ধিবৃত্তাবিষয়েযু প্রেরয়তি । t অর্থাৎ জগতের স্থিতিলয়োৎপত্তির একমাত্র কারণ ব্ৰহ্ম যিনি ভূলোক, ভুবলোক ও স্বৰ্গলোক এই ত্রিলোক-বিশ্ব ব্যাপিয়া নিত্যকাল আছেন, তিনি সেইসূর্যের অন্তর্যামী জ্যোতিঃস্বরূপ র্তাহাকে চিন্তা করি। তিনি কেবলই যে, সূর্যের অন্তর্যামী তাহা নহেন কিন্তু সেই তেজঃস্বরূপ আমারদের সকলের অন্তর্যামী যিনি আমারদের বুদ্ধিবৃত্তিকে বিষয়ে প্রেরণ করিতেছেন। “তেষাময়ং সংক্ষেপার্থঃ” তাহার সংক্ষেপ অর্থ এই যে, “সৰ্ব্বেষাং কারণং সৰ্ব্বত্র ব্যাপিনং আসূৰ্য্যাদন্মদাদিসৰ্ব্বশরীরিণামন্তর্যামিণং চিন্তয়ামঃ” অর্থাৎ “সকলের কারণ সর্বব্যাপী সূৰ্য্য অবধি আমারদের সর্বলোকের অন্তর্যামীকে চিন্তা করি।” ২৩। এই অর্থের দ্বারা ইহাই প্রকাশ হইতেছে যে, পূর্বকার ন্যায় সূর্যের তেজকে ধ্যান করা রহিত হইয়াছিল। কিন্তু যিনি সূর্য্যের তেজস্বরূপ, এবং শুদ্ধ তাহাও নহেন অীমারদেরও তেজঃ অর্থাৎ অন্তর্যামী অন্তরাত্মা স্বরূপ র্তাহাকেই ধ্যান করার সূত্রপাত হয়। প্রাচীন পরোক্ষ ব্রহ্মোপাসনার পরিবর্তে ভারতে কেমন অপরোক্ষ ব্রহ্মোপাসনার পদ্ধতি প্রচলিত হইল ; কিন্তু বাহ্যতঃ সেই প্রাচীন গায়ত্রীই রহিল । জগদীশ্বরের নিয়মই এই যে, মানব স্থল হইতে ক্রমে সূক্ষে— পরোক্ষ হইতে ক্রমে অপরোক্ষে আরোহণ করিবে। এ কালের সূক্ষভাব-প্রকাশক অধিকাংশ শব্দই পূর্বে কেবল সূক্ষকে লক্ষ্য করত স্থল পদার্থকে জ্ঞাপন করিত, কিন্তু এখন তাহারা