পাতা:বক্তৃতাকুসুমাঞ্জলি.pdf/৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্রহ্মের আরোপ এবং ত্রিদেব ও গায়ত্রীর বিবরণ। 1 سيا প্রত্যক্ষ সূক্ষভাব প্রকাশ করিতেছে। গায়ত্রীর ব্যবহারিক স্থলভাব ক্রমে সময়ের গতিকে নিরঞ্জন ব্রহ্মভাবে পরিণত হইল”। উপরে যে অর্থ দেওয়া গেল তাহাতে ব্ৰহ্ম-বোধবিহীন স্কুল-ভ্রষ্টার মনেবিলক্ষণ আঘাত লাগিয়াছিল। কেন না, আত্মাতে রহিয়াছেন এই কথা প্রকাশ পাইয়াছে। তদ্বারা ব্যবহারিক সূৰ্য্যকে খৰ্ব্ব করা হইয়াছে। কিন্তু নিম্নে যে, আর এক অর্থ দেওয়া যাইতেছে তাহাতে সূর্যের নাম নাই— # “তৎসবিতুঃ'—তস্য জগৎপ্রসবিতুঃ প্রেরকস্য সৰ্ব্বকামানাম্ অন্তর্যামিনো বিজ্ঞানানন্দ-স্বভাবস্য ব্রহ্মণঃ । ‘দেবস্য’— দ্যোতনাত্মকস্য পরমেশ্বরস্য । "বরেণ্যং?—বরণীয়ং । ‘ভগঃ’— ভগং তেজঃ,কি না জ্ঞানং শক্তিঞ্চ । ‘ধীমহি’—ধ্যায়েমঃ বয়ম্। ‘ধিয়ঃ’—বুদ্ধিবৃত্তীঃ । ‘যঃ”—সবিতা, কি না, জগৎপ্রসতি।। নঃ—অস্মাকং। ‘প্রচোদয়াৎ—প্রেরয়তি সৎকৰ্ম্মানুষ্ঠানায়।” অর্থ,—সেই জগৎ প্রসবিতা পরমদেবতার বরণীয় জ্ঞান ও শক্তি ধ্যান করি যিনি আমারদিগকে বুদ্ধিবৃত্তি সকল প্রেরণ করিতেছেন। কেবল এক “সবিতা” শব্দ যাহার ব্যবহারিক অর্থ সূৰ্য্য, তাহার অর্থ “জগৎপ্রসবিতা” (জগৎকে যিনি হৃষ্টি করিয়াছেন) এইরূপে পরিবর্তন করায় গায়ত্রীর তাৎপর্য্য ব্ৰহ্মপক্ষে যাইতেছে। ফলে আদিতে এই উদ্দেশ্যই উহ্য ছিল ; এখন কেবল তাহা স্পষ্টীকৃত হইয়াছে এইমাত্র। ২৪ । কিন্তু র্যাহারা ব্যবহারিক ব্রহ্মা, বিষ্ণু, মহাদেবে আকৃষ্ট; উপরিউক্ত ত্ৰিবিধ তাৎপর্য্যের কোন তাৎপৰ্য্যই তাহারদিগের হৃদয়-প্রীতিকর হইল না। (যোগি যাজ্ঞবল্ক্য)——