পাতা:বক্তৃতাকুসুমাঞ্জলি.pdf/৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্রহ্মের আরোপ এবং ত্রিদেব ও গায়ত্রীর বিবরণ। tS “সায়াহ্নে শিবরূপাঞ্চ বৃদ্ধাং বৃষভ-বাহিণীং । সূৰ্য্যমণ্ডলমধ্যস্থাৎ সামবেদসমাযুতাং ॥” ংকালে গায়ত্রীকে শিবরূপিণী, বৃষভারূঢ়া, বৃদ্ধ স্ত্রীর ন্যায়, সূৰ্য্যমণ্ডল-মধ্যস্থিতা,সামবেদ-সমাযুক্ত ভাবিয়া ধ্যান করিবেক। ২৫। এই কএকটি ব্যবস্থায় ব্রহ্মা, বিষ্ণু, মহাদেবের সহিত ঋক্, যজুঃ, সাম বেদের একে একে সংযোগ রহিয়াছে এবং সূৰ্য্যকেও একপ্রকার সম্মান দেওয়া হইয়াছে। এই বচনে ব্রাহ্মণ্য-ধৰ্ম্মের ও বৈদিক-ধৰ্ম্মের মিশ্রভাব দৃষ্ট হইতেছে, কিন্তু ব্ৰহ্মা, বিষ্ণু, মহেশ্বরের ভাব গায়ত্রীতেই আরোপিত হইয়াছে। যদিও এস্থানে গায়ত্রী দ্বারা অনিৰ্দেশ্য ব্ৰহ্মারাধনার ভাব পাওয়া যায় না, কিন্তু ব্ৰহ্মই যে তাহার লক্ষ্য তাহাতে সন্দেহ নাহি । দুৰ্ব্বলাধিকারীরা যতই কেন রূপকল্পনা করুন না, শাস্ত্রানুসারে সেই সকল প্রকার রূপেতেই ব্ৰহ্মত্ব আরোপিত হইয়া রহিয়াছে। ব্রহ্মকে ত্যাগ কর, দেখিবে আর ভারতে একটি দেবতাও তিষ্ঠিতে পারিবেন না। ধন্য ভারতীয় ব্রহ্মর্ষিগণ ! যাহারা অত যজ্ঞ বন্দনার মধ্যে এক ব্ৰহ্মকে প্রচারিত করিয়া সৰ্ব্বঘট ব্রহ্মময় করিয়া দিয়াছেন। কিন্তু ব্রহ্মর্ষিগণকে পুনশ্চ ধন্যবাদ যে, তাহারা ব্যবহারিক ব্ৰহ্মা, বিষ্ণু,মহেশাদি তাবৎ দেবতাকে নশ্বর বলিয়া গিয়াছেন। তাহাতে মীমাংসকেরা শাস্ত্রের এই উদ্দেশ্য জ্ঞাপন করিয়াছেন যে, দুর্বলাধিকারী উপাসকেরা চিত্তশুদ্ধির নিমিত্তে ঐ সকল পরিমিত দেবগণের উপাসনা করিতে পারেন, কিন্তু প্রকৃত পূজাই ব্রহ্মের পূজা । “ রূপ-নামাদি-নির্দেশ-বিশেষণবিবর্জিত ।” তাহার রূপ নাই, নাম নাই, বিশেষণ নাই। র্তাহাতে কোন প্রকার রূপের আরোপ হইতে পারে না। যদি