পাতা:বক্তৃতাকুসুমাঞ্জলি.pdf/৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Գծ বস্তৃতাকুমমাঞ্জলি । কেহ আরোপ করে, সে অজ্ঞানের কার্য্য। ভারতবর্ষে তাহাতে কোন প্রকার রূপ আরোপিত হয় নাই। বরং আদি হইতে ব্ৰহ্মই উপাসনার বিষয়রপে উহ্য থাকাতে, ইন্দ্রাদি বৈদিক দেবগণে এবং ব্রহ্মাদি ব্রাহ্মণ্য দেবগণে, আর চেতন অচেতন তাবৎ পদার্থে কেবল ব্ৰহ্মত্ব আরোপিত হইয়াছে। এই প্রকার আরোপ দ্বারাই শাস্ত্রের সার্থক্য হইয়াছে এবং ব্রহ্মর্ষির যে ঈশ্বরকে কত দূর সর্বব্যাপী বলিয়া জানিয়াছিলেন তাহ ইহারই দ্বারা জানা যাইতেছে । শাস্ত্রে যে, কোন স্থলে সব মিথ্যা কহিয়া কেবল ব্রহ্মকে সত্য বলিয়াছেন, কোন স্থলে “সৰ্ব্বং খন্বিদং ব্রহ্ম” বলিয়াছেন,কোথাও তাহাকে “একমেবাদ্বিতীয়ং” অনুপম ও নির্লিপ্ত কহিয়াছেন,আবার নানা দেবতার আরাধনাকে যে ব্রহ্মপর কহিয়াছেন তাহার এই তাৎপর্য্য । ব্রহ্মরূপ একমাত্র মনোহর তাৎপৰ্য্য শাস্ত্রের ও দেবগণের সৰ্ব্বভাগে দেদীপ্যমান প্রকাশ পাইতেছে । কি সংহিতা, কি ব্রাহ্মণ, কি উপনিষৎ, কি পুরাণ, কি স্মৃতি, কি ভগবদগীতা, কি শ্ৰীমদ্ভাগবত, কি তন্ত্র, কি ষড়দর্শন, সৰ্ব্ব শাস্ত্রের মধ্যেই ব্রহ্মরূপ পরম তাৎপৰ্য্য অনলের ন্যায় প্রবেশ করিয়া রহিয়াছে। বুদ্ধিও যুক্তি দ্বারা উদ্দীপিত করিলেই উহা সকল শাস্ত্রের ব্যবহারিক তাৎপৰ্য্যকে ভস্মীভূত করত ব্ৰহ্মজ্ঞান উদয় করিয়া দিবেক এবং সাধককে সৰ্ব্বতোভাবে আর্য্যধৰ্ম্মে দীক্ষিত করিবেক ইতি ।