পাতা:বক্তৃতাকুসুমাঞ্জলি.pdf/৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ፃ8 বস্তৃতাকুসুমাঞ্জলি। কিন্তু সে কথা অপরে উল্লেখ করাই তাহারদের বিবেচনায় অসভ্যতা। প্রাচীন সম্প্রদায়ের লোকেরা মিনতি ও নমতার সহিত সরলভাবে আপনারদের অগত্য মিথ্যা কহ ও উৎকোচ লওয়ার কথা ভদ্র-সমাজে স্বীকার করিতেন, কিন্তু এই অভিনব বিদ্যা ও সভ্যতা-ভিমানী ব্যক্তিরা তাদৃশ দোষ স্বীকার করা দূরে থাকুক, অন্যে তাহা উল্লেখ করিলে সেই উল্লেখকারীর নামে তাহার হারা সম্মান পুনঃপ্রাপ্তির নিমিত্তে অভিযোগ উপস্থিত করেন। এইপ্রকারে উক্ত কৃতবিদ্যগণের দ্বারা কোথা ভারতে সত্যের সম্মান উত্তরোত্তর বৃদ্ধি হইবে, না র্তাহারদের বিজাতীয়-সভ্যতাচ্ছাদিত মিথ্যা-ব্যবহার ও তাহার কু-দৃষ্টান্ত ভারতের অন্তঃসার চুর্ণ করিতেছে। এজন্য আমরা এই প্রস্তাব দ্বারা সকলকে সাবধান করিতেছি যে, তাহারা যেন তাদৃশ কোন ভদ্রাভিমানীর বাহ্য সভ্যতায় প্রতারিত না হন। এইরূপ ঈশ্বরে অবিশ্বাসের ফল আপাততঃ প্রকাশ্যে যতই শোভা ধারণ করুক, কিন্তু তাহার অভ্যন্তর-নিহিত গরলরাশি চরমে মহা অনিষ্ট সাধন করিবে । ঐ নাস্তিকতা কালেতে সংসৰ্গদোষে অবশ্য স্ত্রীসমাজে সংক্রমিত হইবেক এবং তখন ভারতবর্ষ স্বকীয় প্রত্যেক অস্থি-গ্রন্থিতে তজ্জনিত অসহ্য বেদনা অনুভব করিবেন। এতএব এমত কেহই কহিতে পরিবেন না যে, ঈশ্বর-বিশ্বাস পরিত্যাগ দ্বারা যাহারা সভ্যতা বিস্তার করিতেছেন এবং সংসারের কার্য্যে মনোযোগী রহিয়াছেন, র্তাহারদের দ্বারা সংসারে পাপের বীজ বিক্ষিপ্ত হইতেছে না। ৫ । পক্ষান্তরে সংসারের মঙ্গল-সাধন পরিত্যাগ করিয়া যে সকল সম্প্রদায় মহা-অনিষ্টকর ঔদাসীন্য-ব্রত অবলম্বন করিয়াছেন তাহারা অার এক দিক দিয়া আলস্য ও কুসংস্কার,