পাতা:বক্তৃতাকুসুমাঞ্জলি.pdf/৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঈশ্বরে ভক্তি স্থির রাখিয়া সংসারীয় কাৰ্য্য সাধন করা। ግ4: ভণ্ডতা ও মতপ্রিয়তা বিস্তার করিতেছেন। ভগবৎ-বিশ্বাসবিহীন কাৰ্য্য এবং আলস্তমাখা ঔদাসীন্য এ উভয়ই মহাপাপ। ঈশ্বর স্বয়ং অবিশ্রান্ত কাৰ্য্য করিতেছেন—তিনি যদি এক মুহূৰ্ত্ত কাৰ্য্য স্থগিত করেন, তবে এক মুহুর্তেই জগতের প্রলয়-দশ উপস্থিত হয়। ঈশ্বরের আদেশে সব হইতে পারে, কেহ কেহ এই কথার অর্থ বুঝিতে না পারিয়া, মনে করেন যেন তিনি আদেশ দিয়া নিশ্চিন্ত আছেন, আর মেঘ, সূৰ্য্য, বায়ু, সাগর, ভূধর, চরাচর তাহা প্রতিপালন করিতেছে, স্থতরাং র্তাহার স্বয়ং কৰ্ম্ম করিবার প্রয়োজন নাই। এই ভাবিয়া অনেকে ঈশ্বরকে নিশ্চিন্ত জানিয়া, কাৰ্য্য-বিসর্জন করত র্তাহার সহিত আলাপ করিবার চেষ্টা করেন ; কিন্তু এ বিবেচনা সম্পূর্ণ ভ্রম। পরমেশ্বর আপনার জাগ্রত, কৰ্ম্মশীল সভাতে সৰ্ব্বত্র সমভাবে পরিব্যাপ্ত রহিয়াছেন। তিনি ইচ্ছাময়। কিন্তু র্তাহার ইচ্ছা নিষ্কৰ্ম্ম নহে। তিনি সৰ্ব্বত্রে অনবরত কৰ্ম্ম করিতেছেন। তিনি মানবের ন্যায় অবকাশের ও বিশ্রামের প্রয়াসী নহেন । বিশ্রাম তাহার অনিৰ্ব্বচনীয় জীবন্ত ভাবের বিরুদ্ধ । অতএব নিশ্চিত জানিও যেরূপ কোন ব্যস্তসমস্ত কৰ্ম্মশীল প্রভুর নিকট র্তার কোন কৰ্ম্মচারী কৰ্ম্মপরিত্যাগ করিয়া সদালাপ করিতে গেলে, কার্য্য না করা অপরাধে উক্ত প্রভু তাহাকে রুদ্রমুখ প্রদর্শন পূর্বক ভৎসনা করত র্তাহাকে পুনরায় কৰ্ম্মে প্রেরণ করেন ; সেইরূপ ইহকালেও যদি না হয় পরলোকেও কাৰ্য্যত্যাগী, ঈশ্বর-পরায়ণ ব্যক্তি তাহার নিয়মে তাদৃশ কৃত পাপের বিলক্ষণ দণ্ড অনুভব করিবেক । আলস্যের বশতাপন্ন হইয়া “শান্তিঃ” শব্দের ইচ্ছানুরূপ অর্থ করিও না এবং তাদৃশ অন্যায়ার্থ-বিশিষ্ট